কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
মোদি সরকারের ৩৭০ ধারা রদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে যাওয়ার আর্জি জানিয়ে গত শুক্রবার চীনে আসেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি। কিন্তু, সে বিষয়ে কোনও আশ্বাস পায়নি ইসলামাবাদ। পাশে দাঁড়ানোর বদলে ভারত ও পাকিস্তান আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত জটিলতার সমাধানের বার্তা দিয়েছে চীন। তার ঠিক দু’দিন পরে জয়শঙ্করের এই চীন সফর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে চীন সংলগ্ন লাদাখকে মোদি সরকারের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে তারা। উদ্বেগ প্রকাশ করে বেজিং জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তে আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়েছে। ভারতও পরিষ্কার করে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, ‘অন্যান্য দেশের অন্তর্বর্তী বিষয় নিয়ে ভারত নাক গলায় না। তাই ভারতও তাদের থেকে একই অবস্থান আশা করে।’
এই পরিস্থিতিতে এদিন বেজিংয়ে পা রাখেন জয়শঙ্কর। দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রথম কোনও মন্ত্রী হিসেবে চীন সফরে এসেছেন তিনি। সোমবার থেকে সেদেশের নেতৃত্বের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে জয়শঙ্করের কর্মসূচি। তারপর চীনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। তারপর ‘হাইলেভেল মেকানিজম অন কালচারাল অ্যান্ড পিপলস টু পিপলস এক্সচেঞ্জেস’ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের। এছাড়া দু’দেশের মধ্যে চারটি মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর নয়াদিল্লিতে হয়েছিল পিপলস টু পিপলস এক্সচেঞ্জেস-এর প্রথম বৈঠক।
এছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে জয়শঙ্কর ও ওয়াংয়ের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে এই সফরে। গত বছরই দু’দেশের বাণিজ্য ৯ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার ছুঁয়েছে। সেখানে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলারেরও বেশি। মনে করা হচ্ছে, এ বছরেই ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ওষুধের পাশাপাশি ভারতের কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নয়াদিল্লির সঙ্গে কথা বলছেন বেজিংয়ের আধিকারিকরা।
পাশাপাশি, চলতি বছরের শেষে ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে জিনপিংয়ের। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর। সেই সফরের বন্দোবস্ত চূড়ান্ত করবেন জয়শঙ্কর-ওয়াং। এর আগে সিকিমের ডোকা লায় দু’দেশের সেনাবাহিনীর টানা ৭৩ দিন অচলাবস্থার পর উহানে জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চীনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন জয়শঙ্কর। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে এটাই একজন কূটনীতিকের দীর্ঘতম মেয়াদ।