বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এই ক’মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ জাল নোট। যার বেশিরভাগই দু’হাজার টাকার। আইএসআইয়ের লক্ষ্য, দু’হাজার টাকার নকল নোট সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ভারতে ছড়ানো। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানের করাচি সহ বিভিন্ন জায়গায় এবং বাংলাদেশে একাধিক জেলায় জাল নোট ছাপানো হচ্ছে। যা এ রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া এলাকা দিয়ে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে ঢোকানো হচ্ছে। পরে তা পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
উদ্ধার হওয়া নোটের গুণগত মান বিচার করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এই কাগজগুলি অত্যন্ত উন্নতমানের। যে কাগজে দু’হাজার টাকার আসল ভারতীয় নোট ছাপা হয়, তার সঙ্গে নকল নোটের কাগজের তেমন কোনও পার্থক্য নেই। তাই সহজেই তা বাজারে চালানো যাচ্ছে। দিন দিন দুইয়ের ফারাক কমে আসছে। তা দেখেই গোয়েন্দা আধিকারিকরা বুঝতে পারেন, উন্নতমানের এই কাগজ বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে তাঁরা জানতে পারেন, আইএসআই এখন থাইল্যান্ডকে জাল নোটের কাগজ তৈরির হাবে পরিণত করেছে। এখানে পাক গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা ঘাঁটি গেড়ে পড়ে থাকছেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই তৈরি হচ্ছে নকল নোটের কাগজ। থাইল্যান্ডের কোথায় কোথায় জাল নোটের কাগজ তৈরি হচ্ছে, তার একটি তালিকা হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। শুধুমাত্র কাগজই নয়, ভারতীয় নোট ছাপার জন্য যে কালি লাগে, সেটাই ব্যবহার করছে নকল নোটের কারবারিরা। গোয়েন্দারা জেনেছেন, জার্মানি থেকে তা আনা হচ্ছে। এখানকার বেশ কিছু সংস্থা তা তৈরি করে থাকে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলেছে আইএসআই।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাগজ ও কালি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে আনার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের একাংশকে। তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ চীনের বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, চীনের বিভিন্ন সামগ্রী পাকিস্তানে আসে। যে কারণে সেখানকার ব্যবসায়ীদের একাংশকে কাজে লাগানো যাচ্ছে সহজেই। এমনকী ট্যুরিস্ট হিসেবে যাঁরা বাংলাদেশে আসছেন, তাঁদেরকেও এই কাজে লাগানো হচ্ছে। ঘুরপথে তা আসার পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় নকল নোট ছাপা হচ্ছে।
বিদেশ থেকে নকল নোট ছাপানোর কাগজ আটকানো নিয়ে দিল্লিতে বিভিন্ন এজেন্সির কর্তারা আলোচনা করবেন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক মারফত কথা বলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।- ফাইল চিত্র