কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এদিন সিবিআইয়ের হয়ে আদালতের উপস্থিত হন প্রবীণ সরকারি আইনজীবী অশোক ভরতেন্দু। আর দিল্লির এই আদালতে নির্যাতিতার হয়ে মামলা লড়ছেন ধর্মেন্দ্র মিশ্র ও পুনম কৌশিক। নির্যাতিতার আইনজীবীর আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। প্রবীণ এই সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, স্বচ্ছভাবেই এই মামলার প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারী অফিসার (আইও)। তাঁর কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। ২০১৮ সালে অস্ত্র আইনে নির্যাতিতার বাবাকে ফাঁসানো ও তাঁকে হেনস্তার অভিযোগে মামলার চার্জগঠন নিয়ে আগামী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত রায় স্থগিত রাখে আদালত। এই মামলাটিতে সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে, সেখানে নাম রয়েছে বিধায়ক কুলদীপ সেনগার, তার ভাই অতুল ও উত্তরপ্রদেশ পুলিসের তিন অফিসারের। পাশাপাশি নির্যাতিতার বাবার খুনের মামলাটি নিয়েও এদিন শুনানি হয়। এই মামলায় বিধায়ক সেনগার ও তার ভাইয়ের নাম চার্জশিটে রাখেনি সিবিআই। এই বিষয়টি নিয়েই সরব হন নির্যাতিতার আইনজীবী। তিনি বলেন, নির্যাতিতার বাবাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছিল। আর তাতেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। তদন্তকারী অফিসার ইচ্ছাকৃতভাবে দু’টি পৃথক চার্জশিট পেশ করেছেন। একটি অস্ত্র আইনে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও হেনস্তার অভিযোগে। অন্যটি তাঁর খুনের মামলায়। চাপ তৈরির লক্ষ্যে নির্যাতিতার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছিল বিধায়ক সেনগার, তার ভাই ও তাদের সঙ্গীসাথীরা। হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে বেদম মারধর করা ও উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করার জন্যই তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। তাই এক্ষেত্রে বিধায়কের ভূমিকা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। এবিষয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অভিযুক্তদের আড়াল করার লক্ষ্যে তদন্তকারী অফিসার খুনের এই মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে বিধায়ক ও তার ভাইয়ের নাম চার্জশিটে রাখেননি, একথা বলা যায় না। স্বচ্ছভাবেই প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারের কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। খুনের অভিযোগে মামলাটিতেও বিধায়ক ও তার ভাইয়ের নাম রাখার মতো কোনও কিছু এখনও পর্যন্ত সিবিআই খুঁজে পায়নি। বিচার চলাকালীন বিধায়ক ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে কিছু খুঁজে পেলে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করা হবে।