বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
প্রধানত পরিকাঠামো উন্নয়নে ভারত ভূটানকে সাহায্য কররে বলে। এর আগে চীন একাধিক পরিকাঠামো উন্নয়নে ভুটানকে অর্থ সাহায্য করার পর সীমান্ত বরাবর নতুন সড়ক নির্মাণের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভুটানে যে নতুন দল ক্ষমতায় এসেছে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান এবং বিদেশনীতি সম্পর্কে বিশেষ ধারণাই নেই বহির্জগতের। কারণ এই দলটির রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল অত্যন্ত সীমিত। এরকম একটি স্বল্প পরিচিত দল ক্ষমতায় আসার ফলে চীন ও ভারত উভয় দেশের পক্ষ থেকেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল নতুন ভুটান কোন পথে হাঁটবে। এরপরই ডিসেম্বর মাসে নয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে এসে দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা রূপায়ণে ভারতের সাহায্য চান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী সপ্তাহে ভুটান সফরে গিয়ে রাজার সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলও সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন এবং ভারতের ওই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর বিশেষ বৈঠক হবে। পাশাপাশি ১০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মাংদেচু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনএইচপিসি এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা করেছে। ২০১৭ সালে ভুটান সীমান্তবর্তী ডোকালা করিডর নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে যে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল তার পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভুটান সফর। এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ছাড়াও ভারত ভুটানকে পারো এয়ারপোর্ট, পেণ্ডেন সিমেন্ট প্রকল্প এবং ভুটান ব্রডকাস্টিং সার্ভিস স্টেশন তৈরিতেও সাহায্য করছে। ভারতের এই প্রবণতার পালটা ভুটানে পা রাখতে চীনও সক্রিয় হয়েছে। চীন ভূটানে একটি দূতাবাস খুলতে অনুমতি চেয়েছে।