কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
ন্যাশনাল কনফারেন্সের বক্তব্য, ৩৭০ খারিজ করে রাষ্ট্রপতির জারি করা নির্দেশ ও রাজ্যভাগের জন্য সংসদে যে আইন পাশ হয়েছে তা ‘অসাংবিধানিক’। এগুলি বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে নির্দেশ জারি করার আবেদন জানানো হয়েছে। ঘটনাচক্রে প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি সহ উপত্যকার কয়েকশো রাজনৈতিক নেতানেত্রীকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের পর থেকেই জারি রয়েছে বিধিনিষেধ। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৫০ হাজারেরও বেশি বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এই অবস্থায় ন্যাশনাল কনফারেন্সের বক্তব্য হল, জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হয়েছিল সংবিধানের আওতায়। রাষ্ট্রপতির নির্দেশের মাধ্যমে তা খারিজের সিদ্ধান্ত সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। কারণ এজন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার মত নেওয়া হয়নি। যদিও এবিষয়ে কেন্দ্রের তরফে আগেই অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য হল, বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি রয়েছে। তাই বিধানসভার ক্ষমতা এখন সংসদের হাতে। সেই সূত্রেই রাজ্যের হয়ে কথা বলার অধিকার এখন সংসদের হাতে। যদিও ন্যাশনাল কনফারেন্সের আবেদনে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পরামর্শ মেনে কাজ করছেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু মৌলিক কাঠানো পরিবর্তনের জন্য যে মানুষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁদের বা তাঁদের জনপ্রতিনিধিদের মত নেওয়া হয়নি। তাই এই পদক্ষেপ একতরফা ও আইন বিরুদ্ধ। ওমরের দলের তরফে পেশ হওয়া আবেদনে আরও বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতভুক্তির সময় রাজ্যের মানুষকে যে গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছিল, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ রাতারাতি তা খর্ব করার শামিল। উল্লেখ্য, এর আগে ওমর আবদুল্লার ট্যুইটেও একই যুক্তি পেশ করা হয়েছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ১৯৪৭ সালে ভারতে যোগ দেওয়ার সময় রাজ্যের মানুষ যে বিশ্বাস রেখেছিলেন, তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।
এদিন ন্যাশনাল কনফারেন্সের যে দু’জন সাংসদ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন পেশ করেছেন, তাঁরা লোকসভার সদস্য। তাঁদের মধ্যে লোন হলেন জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার। আর মাসুদি হলেন জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। ২০১৫ সালে একটি মামলায় মাসুদিই রায় দিয়েছিলেন, ৩৭০ ধারা সংবিধানের স্থায়ী অংশ। সুপ্রিম কোর্টে এদিনের আবেদনে তাঁরা জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন ও রাষ্ট্রপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানালেন। সুপ্রিম কোর্টের এই আবেদনের পাশাপাশি ন্যাশনাল কনফারেন্স এদিন ফের রাজ্যে ধরপাকড় বন্ধের দাবি জানিয়েছে। দলীয় নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিও করা হয়েছে।