বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন সকালে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, শুনানি চলাকালীন যেভাবে ‘ভারী ভারী সব ইস্যু’ উঠে এসেছে, তাতে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) ফের বিবেচনা করা হবে। ততদিন পর্যন্ত ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় রাখতে হবে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশে বিশেষ করে উল্লেখ করে, বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা বা পদ খারিজ নিয়ে স্পিকার এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। শুনানি চলাকালীন এবিষয়ে উঠে আসা ‘বৃহত্তর ইস্যুগুলি’ নিয়ে আদালত যাতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পর বিধানসভায় চমক দেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। স্পিকারকে তিনি বলেন, আস্থা প্রস্তাব আনা উচিত বলে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনার কাছে সময় চাইছি। সদনের আস্থা থাকলে তবেই কাজ চালিয়ে যেতে চাই। এখানে বসে পদের অপব্যবহার করতে চাই না। পাশাপাশি কুমারস্বামীর দাবি, তিনি ‘স্বেচ্ছায়’ আস্থাভোটে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চলতি রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতিতে কিছু বিধায়কের কাজকর্মের কারণে ধন্দ তৈরি হয়েছে। আমি সব কিছুর জন্য তৈরি। ক্ষমতা আঁকড়ে পড়ে থাকতে চাই না।
সরকারের ভবিষ্যৎ যখন সঙ্কটে, সেই সময় কুমারস্বামীর এগিয়ে এসে খেলার এই ঝুঁকি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো গতকাল সন্ধ্যায় স্পিকারের কাছে নতুন করে ইস্তফাপত্র পেশ করে ফের মুম্বই ফিরে গিয়েছেন জোট শিবিরের বিদ্রোহী বিধায়করা। তাঁরা মুম্বইয়ের হোটেলে রয়েছেন গত শনিবার থেকে। এদিন চার বিদ্রোহী বিধায়ক সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজোও দেন। আর মুখ্যমন্ত্রী আস্থাভোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করায় ফের রিসর্ট রাজনীতির তোড়জোড় শুরু হয়েছে কর্ণাটকে। যাতে দলীয় বিধায়করা হাত ফস্কে বেরিয়ে না যান, সেই আশঙ্কায়। জেডিএস আগে থেকেই তাদের হাতে ধাকা বিধায়কদের নিয়ে গিয়ে তুলেছে দু’টি রিসর্টে। বিদ্রোহী বিধায়করা মুম্বইয়ের হোটেলে রয়েছেন। কংগ্রেস তাদের বাকি বিধায়কদের ক্লার্কস এক্সোটিকা কনভেনশনস রিসর্টে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজেপি তাদের বিধায়কদের জন্য তিনটি রিসর্ট ঠিক করেছে। এই পরিস্থিতিতে আস্থাভোট কবে হচ্ছে, ফল কোন দিকে গড়াবে, তার উপর নির্ভর করছে কর্ণাটকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। তবে তারই মধ্যে কর্ণাটক সঙ্কট নিয়ে এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগেন রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, অর্থশক্তি ব্যবহার করে ও হুমকি দিয়ে রাজ্যে রাজ্যে সরকার ফেলছে বিজেপি। কর্ণাটকেও তেমনটাই ঘটছে।