বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
২০১০ সালে ২০ জুলাই গুজরাত হাইকোর্টের সামনেই খুন হয়েছিলেন সমাজকর্মী তথা আইনজীবী অমিত জেঠুয়া। গুজরাতের গির অরণ্য এলাকায় বেআইনি খাদান কারবারের ঘটনা প্রকাশ্যে নিয়ে আসার কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। নাম জড়ায় তৎকালীন বিজেপি এমপি দীনু বোগা সোলাঙ্কি, তাঁর ভাইপো সহ পাঁচ জনের। সোলাঙ্কি ২০০৯-২০১৪ সাল পর্যন্ত জুনাগড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। অভিযোগ, গির অরণ্য এলাকায় খাদান কারবারের মাথা ছিলেন সোলাঙ্কি। আদালতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে জনস্বার্থে মামলা করে খাদান কারবারের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন জেঠুয়া।
জেঠুয়া খুনের তদন্তে প্রথমে অভিযুক্তদের ক্লিনচিট দিয়ে দেয় গুজরাত পুলিসের অপরাধ দমন শাখা। ২০১৩ সালের শুরুতেই গুজরাত হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। ওই বছর নভেম্বর মাসেই তদন্তের পাট চুকিয়ে সোলাঙ্কি, তাঁর ভাইপো শিব সোলাঙ্কি এবং শৈলেশ পান্ড্য, বাহাদুরসিং ভাধেরস পঞ্চন জি দেশাই, সঞ্জয় চৌহান এবং উদাজি ঠাকুরের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা। গত সপ্তাহে এই সাত অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এদিন তাদের যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক কে এম দাভে। সাজার ঘোষণা শুনে খুশি জেঠুয়ার বাবা ভিখাভাই জেঠুয়া। তিনি বলেছেন, ‘দোষীদের সাজা পেতে অনেক দেরি হয়ে গেল। তা হলেও আমাদের পরিবার আজ বিচার পেয়েছে। সোলাঙ্কিদের মতো অপরাধীদের এমন সাজাই প্রাপ্য।’