বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বিদ্রোহী ১০ জন বিধায়ক— প্রতাপ গৌড়া পাটিল, রমেশ জারকিহোলি, বাইরাতি বাসবরাজ, বি সি পাটিল, এস টি সোমশেখর, আরবালি শিবরাম হেব্বার, মহেশ কুমাথাল্লি, কে গোপালাইহা, এ এইচ বিশ্বনাথ এবং নারায়ণ গৌড়া স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিকে, কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের সঙ্কট এবং রাজ্যের উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। একদিন আগেই এই পরিস্থিতির পিছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মস্তিষ্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। এদিন কংগ্রেসের সুরে সুর মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডিএস প্রধান দেবেগৌড়াও। এদিন পাওয়াইয়ের রেনেসাঁ হোটেলে কংগ্রেস নেতা শিবকুমারকে ঢুকতে না দেওয়া এবং তাঁকে আটক করে যেভাবে বেঙ্গালুরুতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই প্রসঙ্গ টেনে গোটা পরিস্থিতিকে ‘জরুরি অবস্থার চেয়েও খারাপ’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান দেবেগৌড়া।
কংগ্রেস-জেডিএসের এই অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি। পাল্টা রাজ্যের জোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বলে দাবি করে বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভও দেখায় বিজেপি। মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন রাজ্যের বিজেপি শাখার সভাপতি বি এস ইয়েদুরাপ্পা এবং প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী কে এস এসওয়ারাপ্পা। বিজেপির তরফে আরও দাবি করা হয়, তাঁরা কর্ণাটকের রাজ্যপালের সাংবিধানিক নির্দেশ মেনে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতেও তৈরি তাঁরা। দু’পক্ষের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলার মধ্যেই বুধবার কংগ্রেসের আরও বিধায়ক পদত্যাগ করেন। এদিন বিধানসভার স্পিকার কে আর রমেশ কুমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন আবাসনমন্ত্রী এম টি বি নাগরাজ এবং বিধায়ক কে সুধাকর।