আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে একটি বাইকে করে মইনপুরী যাচ্ছিলেন ওই দম্পতি। গাড়ি নিয়ে তাঁদের বাইকটিকে ধাওয়া করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। একটি নির্জন জায়গায় ওই দম্পতিকে ঘিরে ধরে তারা। বাইক থেকে নামিয়ে স্বামীর চোখে পাউডার জাতীয় কিছু স্প্রে করে দেয় দুষ্কৃতীরা। তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে চম্পট দেয়। তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। কয়েকঘণ্টা পর ওই ব্যক্তির জ্ঞান ফিরলে তিনি পুলিসের হেল্পলাইনে ফোন করেন। বিছওয়ান থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু তারা এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করে। ওই ব্যক্তিও পাল্টা অভিযোগ জানাতে অনড় থাকেন। তা নিয়ে দু’পক্ষের সামান্য কথা কাটাকাটিও হয়। এর পরেই পুলিস ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়েও অকথ্য অত্যাচার করা হয় বলেও অভিযোগ। মারের চোটে তাঁর হাতের দু’টি আঙুলও ভেঙে গিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। কিছু পরে তিনি কোনওরকমে থানায় গিয়ে পুরো ঘটনাটি পুলিসকে জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে ডিজি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিছওয়ান থানার স্টেশন হাউস অফিসার রাজেশ পাল সিং সহ দুই পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কড়া ভাষায় থানার অফিসারকে ভর্ৎসনাও করেছেন ডিজি। উত্তরপ্রদেশ পুলিসের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ডিজির এই কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জেলে ঢোকানো হবে।