গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন বিকেলে জঙ্গি হামলার ঘটনাটি ঘটেছে অনন্তনাগের ব্যস্ততম কে পি রোডে। সিআরপিএফ প্যাট্রল পার্টির উপর হামলা চালায় দুই জঙ্গি। তারা মোটরসাইকেল চেপে এসেছিল। জওয়ানদের টহলরত পার্টির উপর প্রথমে তারা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। পরে গ্রেনেড ছোঁড়ে। পাঁচ সিআরপিএফ আধিকারিক ঘটনাস্থলেই শহিদ হন। জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। জওয়ানদের পাল্টা গুলিতে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। তার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জওয়ান জখমও হয়েছেন। তাঁদের ৯২ বেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই অতিরিক্ত বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেই সময় অতিরিক্ত বাহিনীকে লক্ষ্য করেও হামলা চালায় জঙ্গিরা। এমনকী গ্রেনেডও ছোঁড়ে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। অন্যজন সম্ভবত পালিয়ে গিয়েছে। অনন্তনাগ থানার স্টেশন হাউস অফিসার আরশাদ আহমেদ জানিয়েছেন, জখমদের চিকিৎসার জন্য শ্রীনগরে পাঠানো হয়েছে।
আর সপ্তাহ তিনেক বাদেই ১ জুলাই থেকে শুরু হবে অমরনাথ যাত্রা। বুধবার যে রাস্তায় হামলা হল, সেই রাস্তা দিয়েই অমরনাথের পথে যান পুণ্যার্থীরা। তাই এদিনের হামলার ঘটনার পরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এদিন গুলির লড়াইয়ের পরেই এলাকা ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। চলছে তল্লাশি। অনেক রাত পর্যন্ত গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। উল্লেখ্য, মাত্র চার মাস আগেই কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মাঘাতী বিস্ফোরণে ৪০জন সিআরপিএফ জওয়ান প্রাণ হারান। ঘটনাটি নিয়ে শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রবল প্রতিক্রিয়া হয়। কোণঠাসা হয় পাকিস্তান। পুলওয়ামার হামলার পাল্টা পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে জয়েশ জঙ্গিদের মজবুত ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়ে আসে ভারতীয় বায়ুসেনা। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চাপানউতোর এখনও চলছে। আর তার জেরেই পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে ঠেকেছে। এরই মাঝে ফের কাশ্মীরে জঙ্গিহানা পাকিস্তানের ‘শান্তি প্রক্রিয়া’কেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল।