পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইসরোর পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ জুলাই শ্রীহরিকোটা থেকে ভারতীয় সময় ভোররাত ২ টো ৫১ মিনিটে এই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে উৎক্ষেপণ করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে কৃত্রিম উপগ্রহের বিক্রম নামক ল্যান্ডারটি চাঁদের একেবারে দক্ষিনাংশে অবতরণ করানো হবে বলে ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। ৩.৮ টন ওজনের এই কৃত্রিম উপগ্রহটির মোট তিনটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশটি একটি অরবিটার, যেটি উৎক্ষেপণের পর নির্দিষ্ট কক্ষপথে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। দ্বিতীয় অংশটি হল বিক্রম নামক ল্যান্ডার। যেটি সেপ্টেম্বরে চাঁদের মাটিতে নামবে। তারপরে তা থেকেই ‘প্রজ্ঞান’ নামক একটি রোভার চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়াবে। উল্লেখ্য, বছর ১০-১২ আগে চন্দ্রযান-১ অভিযানে মূলত চন্দ্রপৃষ্ঠের বিভিন্ন খুঁটিনাটি নিয়ে গবেষণা করেছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সেই গবেষণায় ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সবথেকে বড় সাফল্য ছিল, চন্দ্রপৃষ্ঠে একদা যে জল ছিল— তার যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছিল চন্দ্রযান-১। যা পরবর্তী সময়ে নাসাকেও স্বীকার করতে হয়েছিল।
ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতবার শুধুমাত্র কক্ষপথে ঘোরার জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হয়েছিল। এবার সেই সঙ্গে ল্যান্ডার এবং রোভারও পাঠানো হচ্ছে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এবার ল্যান্ডার এবং রোভারে একাধিক যন্ত্র পাঠানো হয়েছে। যার সাহায্যে মূলত চন্দ্রপৃষ্ঠে যে মাটি এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে— তার খুঁটিনাটি নিয়েই গবেষণা করতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। একইসঙ্গে চন্দ্রপৃষ্ঠের মাটির স্তর কীরকম, সেবিষয়েও খোঁজখবর নেবেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি চন্দ্রপৃষ্ঠের যে অংশে ভারতীয় চন্দ্রযান-২ নামতে চলেছে, সেই জায়গা নিয়ে আগে বিশেষ কোনও গবেষণার কাজ হয়নি। তাই সেই এলাকা নিয়েও ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের আগ্রহ তুঙ্গে।
ইসরোর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান-২ তৈরি করতে প্রায় ৬০৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও যে জিএসএলভি মার্ক-৩’তে করে এটি পাঠানো হবে, তা তৈরি করতেও প্রায় ৩৭৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই অবস্থায় বিপুল খরচ হওয়া এই অভিযান নিয়ে বিজ্ঞানীরা সতর্কও। ফলে এর আগে দু’বার অভিযানের সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত জানানো হয়েছিল ৯-১৬ জুলাইয়ে চন্দ্রযান-২ অভিযান হবে। সেই মতোই ১৫ জুলাই এই অভিযান সম্পূর্ণ হবে বলে এদিন জানানো হয়েছে।