বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিকে, উদ্ধারে এতটা সময় লেগে যাওয়ায় প্রশাসনকে দায়ী করেছে শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্ধারের সময় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়নি বলে সরব হয়েছে তারা। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, হাতে ক্ল্যাম্প আটকে শিশুটিকে কুয়ো থেকে বের করে আনে উদ্ধারকারী দল। তাদের অভিযোগ, এই পদ্ধতিতে অনেক আগেই তাকে উদ্ধার করা যেত। তাহলে অহেতুক কেন এত দেরি হল? পাশাপাশি, স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘কুয়ো থেকে বের করার সময়ই বোঝা যাচ্ছিল যে, দেহ পচতে শুরু করেছে। তাহলে কী কারণে ১৫০ কিলোমিটার দূরে পিজিআইতে নিয়ে যাওয়া হল?’ কেন বাচ্চাটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অন্যদিকে, এদিন হাসপাতালের সামনেও বেশ কয়েকজন বিক্ষোভ দেখান। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে হাসপাতাল ও শিশুটির বাড়ি সাঙ্গারুরে বিরাট পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হয়। প্রসঙ্গত, সোমবার উদ্ধারকার্যে ঢিলেমির অভিযোগে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। কিছুক্ষণের জন্য তারা সুমল-মনসা রোডও অবরোধ করে।
চণ্ডীগড়ের হাসপাতালে এদিন ফতেবীরের ময়নাতদন্ত করা হয়। রিপোর্টে উল্লেখ, কয়েকদিন আগেই দু’বছরের শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, ফতেবীরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। সেই সঙ্গে, এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এলাকার পরিত্যক্ত ও খোলা কুয়ো নিয়ে সমস্ত ডেপুটি কমিশনারদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। অপরদিকে, এই মৃত্যুর জন্য সরকারের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল। উদ্ধারে গাফিলতি করে রাজ্য সরকার ‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’ করেছে বলে সরব হয়েছেন তিনি। ফতেবীরের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন আম আদমি পার্টির হরপাল চিমা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা অকালি দলের সাংসদ হরসিমরত কউর বাদল প্রমুখ।