কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
১৯৩৮ সালে মহারাষ্ট্রের মাথেরানে জন্ম গিরিশ কারনাডের। অভিভাবকদের মধ্যে নাটক নিয়ে উৎসাহ থাকায় স্কুল জীবন থেকেই মঞ্চের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। কর্নাটক আর্টস কলেজ থেকে অঙ্ক ও রাশিবিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর তিনি পাড়ি জমান অক্সফোর্ডে। সেখানে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনার পাশাপাশি চলতে থাকে নাট্যচর্চা। সেখানে পড়াকালীনই প্রথম নাটক লেখেন তিনি। দেশে ফিরে কয়েক বছর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসে চাকরির পর তা থেকে অব্যাহতি দিয়ে লেখালিখিতে মন দেন। ১৯৬১ সালে তাঁর লেখা নাটক ‘যাত্রী’ মঞ্চস্থ হতেই প্রচারের আলোয় আসেন তিনি। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নাটকের পাশাপাশি ‘নিশান্ত’ (১৯৭৫), ‘মন্থন’ (১৯৭৬), ‘স্বামী’ (১৯৭৭), ‘পুকার’ (২০০০), ‘ইকবাল’ (২০০৫)-এর মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। সলমন খানের সঙ্গে ‘এক থা টাইগার’ এবং ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-তেও দেখা গিয়েছিল গিরিশ কারনাডকে। অভিনয় করেছেন বিখ্যাত টিভি সিরিয়াল ‘মালগুড়ি ডেজ’-এও। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার। ১৯৭৪ সালে পান ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার, ১৯৯২ তে তাঁকে দেওয়া হয় ‘পদ্মভূষণ’। সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে গিরিশ কারনাড ভূষিত হন জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে।
তবে একটি ঘটনার পর বাংলার সঙ্গে গিরিশের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল। একবার একটি সাক্ষাৎকারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘দ্বিতীয় শ্রেণীর নাট্যকার’ বলায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রাজ্য তথা দেশের বুদ্ধিজীবীরা।
প্রখ্যাত নাট্যকারের প্রয়াণে গোটা দেশে শোকের ছায়া। শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। কৃতী ভূমিপুত্রের মৃত্যুতে আজ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্নাটক সরকার। পাশাপাশি তিন দিনের শোকপালনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।