কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
রেলের এনআইএনএফআরআইএস (নিউ, ইনোভেটিভ নন-ফেয়ার রেভিনিউ আইডিয়াজ স্কিম) কর্মসূচির আওতায় এই পরিষেবা চালু করা হচ্ছে বলে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ, যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি না করেও অন্য কোনও আকর্ষণীয় পরিকল্পনার মাধ্যমে রেলের আয় বৃদ্ধি করা। আজ এ ব্যাপারে রেলের ডিরেক্টর (ইনফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি) রাজেশ ডি বাজপেয়ি বলেছেন, ‘এর আগে কখনও কোনও ট্রেনে এরকম পরিষেবা যাত্রীদের দেওয়া হয়নি। রতলাম ডিভিশন পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু করছে। তাতে সাড়া মিললে রেলের সবকটি ডিভিশনের ডিআরএমরাই (ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার) এই পরিষেবা চালু করে দিতে পারবেন।’ গোটা ব্যবস্থার ফলে রেলের বছরে অতিরিক্ত ২০ লক্ষ টাকা আয় হবে বলে রেল জানিয়েছে।
চলন্ত ট্রেনে কীভাবে এই হেড অ্যান্ড ফুট মাসাজের পরিষেবা পাবেন সাধারণ যাত্রীরা? রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত ইন্দোর স্টেশন থেকে যাতায়াত করা ৩০টি ট্রেনে এই পরিষেবা দেওয়া হবে। যাত্রীদের ‘হেড অ্যান্ড ফুট মাসাজ’ যাঁরা করবেন, তাঁরা প্রত্যেকেই হবেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী। সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থা রেলের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে এই কাজ করবে। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে যাত্রীদের জন্য তিনটি প্যাকেজ রয়েছে। গোল্ড, ডায়মন্ড এবং প্ল্যাটিনাম। যাত্রীপিছু যার মূল্য যথাক্রমে ১০০ টাকা, ২০০ টাকা এবং ৩০০ টাকা।
তবে রেল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এক্ষেত্রে পরিষেবা নেওয়ার জন্য সাধারণ যাত্রীদের কোনওরকম জোর-জবরদস্তি করা হবে না। যাঁরা এগুলি করাতে চাইবেন, একমাত্র তাঁরাই নিজে থেকে ট্রেনের সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এর পাশাপাশি রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ট্রেনে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে না। একইভাবে রেল যাবতীয় বিভ্রান্তি কাটিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, এই ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলিতে কোনওরকম ‘সেলুন’ ব্যবস্থা চালু করা হবে না। বেসরকারি সংস্থার এই কর্মীদের কাছ থেকে শুধুমাত্র হেড অ্যান্ড ফুট মাসাজই পাওয়া যাবে। রেলমন্ত্রকের ওই শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতি ট্রেনে এ রকম ৩ থেকে ৫ জন কর্মী থাকবেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে চাহিদামতো কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
প্রতি বছর ২০ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত আয় ছাড়াও রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর ফলে প্রতি বছর রেলের অতিরিক্ত প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার বিক্রি হবে। এবং যাত্রী সংখ্যা আরও প্রায় অতিরিক্ত ২০ হাজার বৃদ্ধি পাবে। কীভাবে এই হিসেব করছে রেল? আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, প্রথমত এই বিশেষ পরিষেবা নিয়ে লাগাতার প্রচার চালানো হবে ডিভিশনগুলোতে। আকর্ষণীয় এই পরিষেবার সুবিধা পেতে তুলনায় বেশি যাত্রী এই রুটের ট্রেনগুলিতে চাপবেন। পাশাপাশি, যে কর্মীরা ‘মাসাজ’ করবেন, তাঁদেরও টিকিট কেটেই ট্রেনে উঠতে হবে। এমনই চুক্তি করা হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। তবে, ওই কর্মীরা জেনারেলের টিকিট কেটেই গোটা ট্রেনে ঘুরতে পারবেন। তাঁদের প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্রেরও ব্যবস্থা করবে রেলমন্ত্রক।