যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
নির্বাচনী প্রচারে এই বিষয়টি তুলে মাক্কাল নিধি মায়াম সুপ্রিমো ঠিক করেননি বলে মত প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, ‘নির্বাচনী সভায় শ্রোতারা তাঁদের কোনও সমস্যার বিষয়ে গঠনমূলক সমাধান শুনতে চান, কোনও বিদ্বেষ বা ঘৃণামূলক মন্তব্য নয়।’ এদিন পিটিশন দাখিল করে কমলের আইনজীবী বলেন, ওই সভায় তাঁর মক্কেল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছেন। এই যুক্তিকে খণ্ডন করে বিচারপতি পাল্টা জানিয়েছেন, ‘ঐতিহাসিক ঘটনা হলেও কোনও বিষয়কে যথাযথভাবে তুলে না ধরা একপ্রকার অপরাধ।’ গডসকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলার সঙ্গে তাঁর ধর্ম জুড়ে দেওয়ারও সমালোচনা করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। বিচারপতি আর পুগালেন্ধির কথায়, ‘ধর্ম, সম্প্রদায়, জন্মস্থান, বাসস্থান বা ভাষার ভিত্তিতে কোনও মৌলবাদী, সন্ত্রাসবাদী বা উগ্রবাদীর পরিচয় দেওয়া ঠিক নয়। জন্মসূত্রে কেউ অপরাধী হয় না, তার ব্যবহারই তাকে অপরাধী করে তোলে।’ এই ধরনের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেছেন বিচারপতি।
পিটিশন দাখিল করে কমল হাসান আদালতে জানান, তিনি শুধু গডসেকে সন্ত্রাসবাদী বলেছেন। কখনই সমস্ত হিন্দুকে সন্ত্রাসবাদী বলেননি। পাশাপাশি সামগ্রিক বক্তব্যকে বাদ দিয়ে কিছু নির্দিষ্ট শব্দের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। তাই আইনি দিক থেকে এই মামলায় প্রাসঙ্গিকতা নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী বলেন, হাসানের মন্তব্যে মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ-ঘৃণা তৈরি হতে পারে। ৭৬ জন এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত কমলকে আরাভাকুরুচিতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা বন্ড ও সমপরিমাণ অঙ্কের দুটি সিওরিটিসের ভিত্তিতে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে।