যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
২০১৪ সালে এই রাজ্যগুলিতে বিজেপি যত আসন পেয়েছিল, তার মধ্যে সামান্য কিছু কমবেশি ছাড়া প্রায় সেই একই আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে গেরুয়া শিবির। তার সঙ্গেই যোগ হয়েছে নতুন একঝাঁক রাজ্য থেকে আসনপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। ২০১৪ সালে যে রাজ্যগুলিতে বিজেপির প্রাপ্ত আসন কম ছিল, সেই রাজ্যগুলি থেকে এবার অনেক বেশি আসন পেতে চলেছে বলে সমীক্ষায় বলা হয়েছে। সবথেকে বিস্ময়কর আসনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় প্রতিটি সমীক্ষক সংস্থাই বিজেপিকে ১০ থেকে ১৬টি পর্যন্ত আসন পাইয়ে দিয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে অ্যাক্সিস সমীক্ষক সংস্থা আবার আরও একধাপ এগিয়ে বলেছে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ২৩টি পর্যন্ত আসন পেতে পারে।
উল্লেখ্য, অমিত শাহ লাগাতার বলে গিয়েছেন বাংলায় তাঁরা ২৩টি আসন পাচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশ নিয়ে একটা বিভ্রান্তি আছে এক্সিট পোলের ফলাফলে। এবিপি নিয়েলসন যেখানে বলেছে উত্তরপ্রদেশে এবার বিজেপি বিপুলভাবে ধাক্কা খাবে। সেখানেই আবার টাইমস নাও চ্যানেলের সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি পাচ্ছে ৫৮টি আসন। সুতরাং যেটা নিয়ে সংশয় নেই সেটি হল বেশি হোক কিংবা কম, এবার বিজেপি আসন হারাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ থেকেই। আজ প্রকাশিত এক্সিট পোলের প্রবণতা যদি সত্যিই হয় তাহলে বলা যাবে দক্ষিণ ভারতে একমাত্র কর্ণাটক ছাড়া বিজেপি আর কোনও রাজ্যেই চূড়ান্ত ভালো করতে পারেনি। বরং কেরল ও তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস জোট ভালো ফল করছে। বিজেপি উত্তর, পশ্চিম, পূর্ব এবং উত্তর পূর্ব ভারতে ভালো ফলাফল করার ইঙ্গিত দেখাচ্ছে এক্সিট পোলে। এক্সিট পোলের আভাস অনুযায়ী একটা বিষয় স্পষ্ট রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির সরকারের বিরুদ্ধে সাধাবণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে যতই বিজেপি বিরোধী ভোট দিয়ে থাকুন না কেন বিধানসভায়, কেন্দ্রীয় সরকার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিনা দ্বিধায় প্রত্যেকেই ভোট দিচ্ছেন সেই মোদিকেই। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রে মোদির বিকল্প কোনও নেতানেত্রীকে ভাবছেন না সিংহভাগ ভোটার। মনে করা হচ্ছে বিজেপিকে বিপুলভাবে লড়াইয়ে ফিরিয়ে এনে আবার চ্যাম্পিয়ন করার জন্য পুলওয়ামা, বালাকোট নিঃসন্দেহে বড় ভূমিকা পালন করেছে। বস্তুত এই ফলাফল যদি সত্যিই ২৩ মে প্রতিফলিত হয় প্রকৃত ফলাফলে তাহলে বুঝতে হবে রাফাল থেকে কৃষক সমস্যা, কমর্সংস্থান সঙ্কট থেকে নোটবাতিল বা জিএসটি, মোদি বিরোধী কোনও ইস্যুই কাজ করেনি। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীদের আগামীদিনের লড়াই হবে আরও কঠিন। আর যদি আগামী ২৩ মে এক্সিট পোল ভুল প্রমাণিত হয়? তাহলে রাজনৈতিক সমীকরণ অত্যন্ত আকর্ষক হবে সপ্তদশ লোকসভায়।