যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
শনিবার কেদারনাথে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। হিমালয়ান সংস্কৃতি, ঐতিহ্য মেনে মাথায় পরেন পাহাড়ি টুপি। গায়ে ছিল গৈরিক শাল। মন্দিরে পুজো দিয়েই দেবভূমির উন্নয়নমূলক কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন মোদি। তার পরেই মন্দির সংলগ্ন একটি গুহায় একাকী ধ্যানমগ্ন হয়েছিলেন তিনি। গায়ে ছিল সেই গৈরিক শাল। রাতভর সেই গুহায় কাটিয়ে সকালে ধ্যানের আসন ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই সূত্রের খবর। তার পর বদ্রীনাথ যাত্রার আগে একপ্রস্থ কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের কাজকর্ম একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়া মেনেই কেদারনাথ মন্দির ও সংলগ্ন শহর এলাকার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। আমি প্রতি মহূর্তে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাজকর্মের তদারকিও করেছি। সূত্রের খবর, প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধ্যানমগ্ন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সবমিলিয়ে কেদারনাথে তিনি কাটালেন ২০ ঘণ্টা। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর গন্তব্য হয় উত্তরাখণ্ডের ‘চারধামে’র আর একটি ধাম ‘বদ্রীনাথ’।
এদিন বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে কেদারনাথ থেকে বদ্রীনাথে আসেন প্রধানমন্ত্রী। হেলিপ্যাড থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত মূল মন্দিরে আসেন সড়ক পথে। তাঁর সফরকে ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। কেদারনাথ-বদ্রীনাথ মন্দির কমিটির শীর্ষকর্তা মোহন প্রসাদ থাপলিয়াল জানিয়েছেন, মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে প্রায় ২০ মিনিট ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই সময়ের মধ্যে পুজোও দেন তিনি। ধর্মীয় আচার মেনে পুজোর ডালিতে রেখেছিলেন বিরাট তুলসীর মালাও। পুজোর পর্ব মিটিয়ে মন্দির পরিচালন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন মোদি। থাপলিয়াল জানিয়েছেন, বদ্রীনাথে পুণ্যার্থীরা এসে যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। টেলি যোগাযোগ কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই বিষয়টিও নজর দিতে বলেছেন তিনি। এরই পাশাপাশি, মন্দির সংলগ্ন এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের উপরেও জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান স্থানীয় মানা গ্রামের মানুষজন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে একটি শালও তুলে দেন তাঁরা। বদ্রীনাথ থেকে বিকেলেই দিল্লির উদ্দেশ্যে উড়ে যান প্রধানমন্ত্রী।