যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
সাত দফার ভোটগ্রহণ শেষ হলেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না মোদির। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের অন্দরেও তাঁকে কেন্দ্র করে বিতর্কের জেরে মতভেদ প্রকাশ্য এসে পড়েছে। মোদি ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কমিশন। অন্যতম নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। তিন সদস্যের কমিশনে তাঁর একার প্রতিবাদ রীতি মেনে নথিভুক্ত করা হয়নি বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি। সেই বিতর্কের মধ্যেই গত ১৭ তারিখ থেকে মোদির ধর্মীয় কর্মকাণ্ড ফলাও করে বিভিন্ন টিভি চ্যানল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ শেষ দফার ভোটের প্রচার বন্ধ হওয়ার পর মোদির এই পরোক্ষ প্রচারে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে এদিন কমিশনে চিঠি দেন তৃণমূলের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়ান। একইভাবে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে চিঠি দিয়ে ওই প্রচার বন্ধের আর্জি জানান। ডেরেকের দাবি, কমিশনের নির্দিষ্ট প্রচারের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই মোদির তীর্থযাত্রার ছবি যেভাবে সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে, তার উদ্দেশ্য ভোটারদের প্রভাবিত করা। শুধু ছবি নয়, কেদারনাথ মন্দির নিয়ে সরকারের মাস্টার প্ল্যান তৈরি আছে বলেও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের মতে, অনৈতিক কাজ করেছেন মোদি। তাঁর তীর্থযাত্রার প্রতি মুহূর্তের কর্মকাণ্ড যেভাবে সম্প্রচারিত হয়েছে, তা পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি তৃণমূলের। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেখানোর সময় নেপথ্যে ‘মোদি মোদি’ স্লোগান শোনা যায়। ডেরেকের মতে, সবটাই পূর্বপরিকল্পিত। এবং তা করা হয়েছে কমিশনের অনুশাসনকে উপেক্ষা করে। নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ সংস্থা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার চোখ-কান হিসেবেই তার ভূমিকা। অথচ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে দেখেও তারা চোখ-কান বুজে থেকেছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করেন ডেরেক। একইসঙ্গে কমিশনের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রদীপবাবুও। রাজ্য কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির মতে, একজন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এই ধরনের কাজ গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও এই প্রশ্নে কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। কমিশনের অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, কমিশন নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ। কেননা, তিন সদস্যের অন্যতম এক সদস্য যেখানে মোদি ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের সওয়াল করছেন, তখন স্রেফ সংখ্যাধিক্যর জোরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও আরেক সদস্য তাঁদের ক্লিনচিট দিয়েছেন। বিরোধীদের মতে, মোদি জমানায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সিবিআই, ন্যাশনাল স্টাটিস্টিক্যাল অর্গানাইজেশন (এনএসও)-এর মতো স্বাধীন সংস্থাগুলির মর্যাদা নষ্ট হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল নির্বাচন কমিশন।