যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এদিকে শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই পাঞ্জাবের দুই নেতার লড়াই কংগ্রেসে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। পাঞ্জাবে অমরিন্দরের সঙ্গে এর আগে বিভিন্ন কারণে মতের অমিল হয়েছে সিধুর। নির্বাচনের মধ্যেও অমরিন্দরের সমালোচনায় সরব হয়েছেন সিধু। যদিও তা দলের অন্দরেই সীমবদ্ধ ছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিধু যদি আসল কংগ্রেসি হতেন, তাহলে তিনি নিজের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য নির্বাচনের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন। এদিন পাতিয়ালার ভোট দিতে যাওয়ার সময় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ‘সিধুর উপর আমার কোনও অভিযোগ নেই। উনি উচ্চাভিলাষী নেতা। তাঁর ইচ্ছা আমাকে সরিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া।’ ক্যাপ্টেন বলেন, সিধুর বিরুদ্ধে দল কোনও ব্যবস্থা নেবে কি না, তা হাইকমান্ডই সিদ্ধান্ত নেবে। কংগ্রেস এমন একটি দল যেখানে বিশৃঙ্খল বরদাস্ত করা হয় না। পাশাপাশি তিনি বলেন, সিধুর উপর আমার ব্যক্তিগতভাবে কোনও অভিমান নেই। আমি ওঁকে ছোটবেলা থেকেই চিনি। সম্ভাবত উনি উচ্চাভিলাষী। আর আমাকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছেন। এবারের লোকসভায় অমৃতসর কেন্দ্র থেকে সিধুর স্ত্রী নভজ্যোৎ সিং কাউরকে টিকিট না দেওয়া দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। পাঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী আশা কুমারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিধু। দলের এই সিদ্ধান্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেন সিধু। এর আগে সিধু কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে নিজের ক্যাপ্টেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। পাশাপাশি ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানের ফাঁকে পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে আলিঙ্গন করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সিধু। রাজ্যের মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন অমরিন্দর সিং। শুক্রবার অমরিন্দরকে কটাক্ষ করে সিধু বলেন, ‘কেউ বলেন রাজ্য থেকে আশানুরূপ আসন না পেলে ইস্তফা দেব। কিন্তু আমি বলছি, দল যদি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমিই পদত্যাগ করব।’