যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
চলতি লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে মূল লড়াই পদ্ম ও লণ্ঠনের মধ্যে। একদিকে রয়েছেন বর্তমান সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী অশ্বিনীকুমার চৌবে। অন্যদিকে, মহাজোটের পক্ষে আরজেডি টিকিট দিয়েছে জগদানন্দ সিংকে। গেরুয়া শিবির এখানেও মোদি ম্যাজিক কাজে লাগিয়ে ফের পদ্ম ফোটাতে তত্পর। হাল ছাড়ছে না আরজেডিও। তারাও কড়া টক্কর দিতে কোমর বেঁধে নেমেছে। দলের স্থানীয় এক নেতা রামানন্দ যাদবের কথায়, ‘বিজেপির মোদি থাকলে, আমাদের তেজস্বী যাদব আছেন। যুবদের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাই এবার আমরাই জিততে চলেছি।’ এই লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে ছ’টি বিধানসভা ক্ষেত্র রয়েছে। ব্রহ্মপুর, বক্সার, ডুমরান, রাজপুর, দিনারা, রামগড়।
প্রাথমিকভাবে, এই আসনের লড়াই দ্বিমুখী হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু নির্বাচনকে আরও জমজমাট করে তুলেছেন বিএসপি প্রার্থী সুশীল কুশওয়া। চৌবে ও সিং, তিনি দু’জনের পথেই কাঁটা বিছিয়ে দিতে পারেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। ২০১৪-র নির্বাচনে মায়াবতীর দল ২০.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আরজেডির থেকে যা সামান্য কম। এদিকে, কয়েকদিন আগে বিএসপি সুপ্রিমো চোয়াশাতে জনসভা করেন। সেখানে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএসপি প্রার্থী এই কেন্দ্রের লড়াইকে ত্রিমুখী করে তুলেছেন। এছাড়া ভোটের সমীকরণকে আরও জটিল করে তুলেছেন প্রাক্তন আরজেডি বিধায়ক রামচন্দ্র যাদব। নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন তিনি। তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন কোশির বাহুবলি পাপ্পু যাদব, দাদন পহেলবান এবং প্রাক্তন বিধায়ক অজিত চৌধুরী। এই তিন হেভিওয়েটকে পাশে পাওয়ায় তিনিও জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে। সেই থেকে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচন। এই বক্সার লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেতা সিংহভাগ প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ভালো পদই পেয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন ১৯৫২’র সাংসদ তারকেশ্বরী সিনহা (১৯৫২-তে এই কেন্দ্রের নাম ছিল পাটনা পূর্ব), আবার ২০১৪-তে জেতা অশ্বিনীকুমার চৌবেও। অনন্তপ্রসাদ শর্মা, রাম সুভাগ সিং ও কে কে তিওয়ারির মতো নামও রয়েছে এতে। এই কেন্দ্র থেকে জিতে মন্ত্রিসভায় বড় বড় পদ পেলেও দশকের পর দশক ধরে একইভাবে উপেক্ষিত রয়ে গিয়েছে গঙ্গার পাশে অবস্থিত ও উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া এই কেন্দ্র। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এখানে যে পরিমাণ উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল, তার সিকিভাগও হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচটি লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে জয় পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৪-এ বর্ষীয়ান নেতা লালমুনি চৌবে এবং ২০১৪-এ অশ্বিনী চৌবে এখান থেকে সাংসদ হন। তবে এবার এই ত্রিমুখী লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবেন, তা নির্ধারিত হবে আগামী রবিবার শেষ তথা সপ্তম দফা নির্বাচনে।