যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
পূর্ণ উত্তরপ্রদেশে অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে মায়াবতী তার দায় চাপালেন মোদি-যোগী জুটির উপর। শনিবার বিএসপি সুপ্রিমোর ট্যুইট, পূর্বাঞ্চল থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রতিনিধিত্ব করছেন। তা সত্ত্বেও এই অঞ্চলে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিগুলি পালন করা হয়নি। বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। এর পরেই আক্রমণের ফলা আরও শানিত করেন ‘বহেনজি’। তাঁর তোপ, গোরক্ষপুর যোগীকে (আদিত্যনাথ) খারিজ করেছে। বারাণসী থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদির পরাজয় কি তাঁর জয়ের থেকে বেশি ঐতিহাসিক হবে না? বারাণসীতে কি রায়বেরিলির ১৯৭৭ সালের ফলের পুনরাবৃত্তি হবে?
এদিন রায়বেরিলির উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে খোঁচা দিলেও তার ঐতিহাসিক প্রেক্ষিতের কোনও ব্যাখ্যা দেননি মায়াবতী। বিএসপি সুপ্রিমো ব্যাখ্যা এড়িয়ে গেলেও তাঁর ইঙ্গিত চোখ এড়াচ্ছে না রাজনৈতিক মহলের। জরুরি অবস্থা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ১৯৭৭ সালের লোকসভা নির্বাচনে রায়বেরিলি কেন্দ্রে রাজ নারায়ণের কাছে হেরে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেবার রায়বেরিলি থেকে ইন্দিরা পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫১৭টি ভোট। আর রাজ নারায়ণের ঝুলিতে গিয়েছিল ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭১৯টি ভোট। সেবারের সেই ফল গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। এদিন মায়াবতী পরোক্ষে মন্দির শহর বারাণসীকেও রায়বেরিলির সেই নজির অনুসরণ করার বার্তা দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিএসপি সুপ্রিমোর অভিযোগ, পূর্ব উত্তরপ্রদেশের চরম গরিবি, বেকারত্ব ও অনগ্রসরতার উপশমে ব্যর্থ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ‘গুজরাত মডেল’। প্রতিশ্রুতি পূরণের এই ব্যর্থতা নিশ্চিতভাবেই এই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। উন্নয়নের বদলে মোদি-যোগীর ‘ডাবল-ইঞ্জিন’ সরকার জাত-পাত, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও হিংসা উপহার দিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।