যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
প্রচারে অকালিরা কড়া ভাষায় আক্রমণ করছে কংগ্রেস প্রার্থী গুবায়াকে। সুখবীর তো কোনও রাখঢাক না রেখে তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেও কটাক্ষ করছেন। তাঁর কথায়, ‘গুবায়া শুধু আমার সঙ্গেই নয়, মায়ের মতো দলের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং প্রচুর টাকার লোভে তিনি নিজের সম্প্রদায়কেও ঠকিয়েছেন।’ বাদলের মন্তব্যে কোনও গুরুত্ব দিতে নারাজ গুবায়া। অকালি এই এলাকায় উন্নয়নের দোহাই দিয়ে ভোট চাইছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস প্রার্থীর মতে, এই কেন্দ্রের লড়াই ধনী বনাম গরিবের।
ফিরোজপুর কেন্দ্রের অনেকটা জুড়ে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শতদ্রু নদী। এই দুই নিয়ে প্রায় সারা বছরই রাজনৈতিক টানাপোড়েন, অস্থিরতা বজায় থাকে। এতে মোটেই খুশি নন স্থানীয়রা। এর পাশাপাশি, এলাকার উন্নয়ন নিয়েও একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে তাঁদের। কথা বলতে গিয়ে সীমান্ত এলাকার একাধিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেলেন স্থানীয় বাসিন্দা তথা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হরভজন লাল। তাঁর মতে, নেতারা ভোটের সময় আসেন। প্রচুর প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরে আর তাঁদের দেখা যায় না। এদিকে, উন্নয়নকে পিছনে ফেলে এই কেন্দ্রে জয়-পরাজয় ঠিক করে দেয় জাতপাতের রাজনীতিই। ১৯৮০ সাল বাদ দিলে প্রতিবারই রাই শিখ বা জাঠ শিখ সম্প্রদায়ের প্রার্থীরা এখানে জয় পেয়েছেন। শেষ কয়েকটি নির্বাচনে ‘রাই শিখ’ সম্প্রদায়ের ভোটারদের প্রভাব বেশ খানিকটা বেড়েছে। কংগ্রেস প্রার্থীও এই সম্প্রদায়েরই অংশ। একে কাজে লাগাতে চাইছে রাহুল গান্ধীর দল। বিগত নির্বাচনগুলিতে এই সমীকরণকে ব্যবহার করে জয় নিশ্চিত করেছে অকালি দল। কিন্তু দলের প্রাক্তন সহকর্মী ও বর্তমান সাংসদ কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় চাপে পড়েছে তারা।
তবে, বর্তমান সাংসদের জয়ের পথ একেবারেই মসৃণ নয় বলে মত রাজনৈতিক মহলের। গুবায়াকে টিকিট দেওয়ায় কংগ্রেসের অনেকেই খুশি নন। তাঁরা দলের প্রচার থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন। পাশাপাশি, অকালি দলও কড়া টক্কর দিতে চাইছে। রাই ও জাঠ শিখের পাশাপাশি হিন্দু, কুমহার ও কম্বোজ সম্প্রদায়ের ভোটারদের নিজের দিতে টানতে কোনও কসুর করছে না সুখবীর সিং বাদলের দল। এদিকে, বিগত ৫টি লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে জয় পেয়েছে অ¬কালিরা। অন্যদিকে, কংগ্রেস শেষবার এই কেন্দ্রে জিতেছিল ১৯৮৫ সালে। কিন্তু এবার ‘দলবদলু’ সাংসদকে সামনে রেখে প্রায় ৩৪ বছর পর জয় পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হাত-শিবির।