যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
নির্বাচন কমিশনের এই তিন সদস্যের কমিটিতে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার সুনীল অরোরার পাশাপাশি রয়েছেন নির্বাচনী কমিশনার অশোক লাভাসা ও সুশীল চন্দ্র। সূত্রের খবর, কমিশনের তিন সদস্যের কমিটিতে নিজের মত গুরুত্ব না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ লাভাসা। তাঁর বিরোধিতা সত্ত্বেও কমিশনের শীর্ষ পর্যায়ের এই কমিটি নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে ক্লিনচিট দেওয়ায় কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করে কমিশনের বৈঠক থেকে দূরে থাকার কথা জানিয়ে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার সুনীল অরোরাকে চিঠিও দেন তিনি। জানা গিয়েছে, কমিশনের বৈঠকে তাঁর মতামত গুরুত্ব না পাওয়ায় এবং তাঁর বক্তব্য রেকর্ডে নথিভুক্ত না হওয়ায় বৈঠক থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সুনীল অরোরাকে জানান লাভাসা।
কমিশনের তিন সদস্যের মধ্যে এহেন মতবিরোধের কারণ কী? জানা গিয়েছে, ১ এপ্রিল কেরলের ওয়ানাড় কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়া নিয়ে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেন মোদি। ৯ এপ্রিল লাতুরে প্রথমবারের ভোটারদের কাছে পুলওয়ামায় শহিদদের জন্য ভোট দেওয়ার আর্জিও জানান মোদি। মহারাষ্ট্রের নানদেরে কংগ্রেসকে ‘ডুবন্ত জাহাজ’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। মোদি ও অমিত শাহের একাধিক প্রচারে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগের মধ্যে দু’টি ক্ষেত্রে বিজেপির দুই শীর্ষ নেতাকে ক্লিনচিট দেওয়া নিয়ে কমিশনের দুই সদস্যের সঙ্গে সম্মত হন লাভাসা। কিন্তু অপর ১১টি ক্ষেত্রে তাঁদের ক্লিনচিট দেওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি লাভাসা। কিন্তু তাঁর আপত্তি সত্ত্বেও কমিশনের এই কমিটি নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে ক্লিনচিট দেয়। এনিয়ে মূল বিরোধের সূত্রপাত।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরে এই বিরোধ নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। শনিবার নির্বাচনী কমিশনার অশোক লাভাসার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের দাবিও তুলেছে তারা। মোদি সরকার নির্বাচন কমিশনকে ‘হাতের পুতুল’ বানিয়েছে বলে দাবি করার পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক গুরুত্বকে অস্বীকার করাটাই মোদি সরকারের রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনী কমিশনার অশোক লাভাসার বক্তব্য নথিভুক্ত করে কমিশন এই বিড়ম্বনা থেকে নিজেদের রক্ষা করবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। কংগ্রেসের অপর নেতা আহমেদ প্যাটেল বলেন, ‘কমিশনের স্বাধীন সত্ত্বাকে পুনরায় সংগঠিত করার জন্য লাভাসার তোলা অভিযোগগুলি নিয়ে যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’