যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এপ্রিলে চার দফায় (১১, ১৮, ২৩ এবং ২৯) মহারাষ্ট্রে লোকসভার ভোটপর্ব মিটে গিয়েছে। এই নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে ভাগ্য নির্ধারণ হবে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর— নীতিন গাদকারি, হংসরাজ আহির, সুভাষ ভামরে এবং অনন্ত গীতে। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন দুই কংগ্রেস নেতা অশোক চ্যবন এবং সুশীলকুমার সিন্ধে। সারা দেশের নজর মূলত নাগপুরের দিকে। ২০১৪ সালের লোকসভার নির্বাচনে নীতিন গাদকারি দু’লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন কংগ্রেসের বিলাস মুত্তেম্মারকে। এবারে গাদকারির প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের নানা পাটোলে। গত লোকসভা নির্বাচনে পাটোলে ছিলেন বিজেপিতে। তিনি ভাণ্ডারা-গোন্ডিয়া আসনে পরাজিত করেছিলেন এনসিপির হেভিওয়েট প্রার্থী প্রফুল প্যাটেলকে। পরে পাটোলে বিজেপি ছেড়ে নিজের পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। আরএসএসের হেড কোয়ার্টার হওয়া সত্ত্বেও নাগপুর বরাবর কংগ্রেসের দখলেই ছিল। কিন্তু, গাদকারি আসার পর ছবিটা বদলে যায়। রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা হচ্ছে যে, বিজেপি যদি সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পায় কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে আসে, সেক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির বদলে জোটসঙ্গীরা নীতিন গাদকারিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবেন। যদিও গাদকারি বারেবারেই সাফ জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে নেই।
নাগপুরের পাশাপাশি নজর থাকবে মুম্বইয়ের ছ’টি আসনের দিকেও। গত লোকসভা (২০১৪) নির্বাচনে মুম্বই দক্ষিণ এবং মুম্বই উত্তর-মধ্য আসনে জিততে পারেননি কংগ্রেস প্রার্থী মিলিন্দ দেওরা এবং প্রিয়া দত্ত। এবার তাঁরা জয় ছিনিয়ে নিতে পারেন কিনা, তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। নজরে রয়েছেন মুম্বই উত্তরে কংগ্রেস প্রার্থী ঊর্মিলা মাতন্ডকরও। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনের ফলের উপর জোট অঙ্কের অনেক কিছুই নির্ভর করছে।