গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই এই ঘাঁটির গুরুত্ব বেড়েছে। তারপর ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে কলাইকুণ্ডার গুরুত্ব আরও বাড়ে। পাক বিমানবাহিনী এই ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ করে এবং বেশ কয়েকটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান নষ্ট করে। এরপর এই ঘাঁটি থেকে উড়েই ভারতীয় যুদ্ধবিমান শত্রুশিবিরে পালটা আক্রমণ চালিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবে কলাইকুণ্ডা ঘাঁটি ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পড়শি দেশ চীনকে নিয়ে এখন তেমন কোনও উদ্বেগ না থাকায়, নিশ্চিন্তে ও নির্বিঘ্নে আধুনিক যুদ্ধবিমানের জন্য চালক তৈরি করছে এই ঘাঁটি। সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে পৃথিবীর সবথেকে ‘অ্যাডভান্সড ট্রেনার’ বিমান ‘হক এমকে ১৩২’-এ। ব্রিটেনের প্রযুক্তিতে তৈরি এই বিমান। এই বিমানে প্রশিক্ষণ নেওয়ায় আগের তুলনায় দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে বলে দাবি বায়ুসেনার শীর্ষকর্তাদের। সূত্রের খবর, ওই বায়ুঘাঁটিকে কীভাবে আরও আধুনিকতর করে গড়ে তোলা যায় এবং কোথায় কোথায় পরিকাঠামো গঠনের ক্ষেত্রে আরও জোর দিতে হবে, সেব্যাপারেও তিনি এয়ার কমোডরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
বায়ুসেনার কর্তাদের কথায়, ‘হক’-এর মতো বিমানে প্রশিক্ষণ দেওয়ায় নতুন চালকদের অনেক সুবিধা হচ্ছে। জাগুয়ার, মিরাজ, সুখোই-৩০’র মতো আধুনিক বিমান চালাতে তাঁদের কোনও সমস্যা হবে না। এই ঘাঁটিতে যেভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তাতে আগামী দিনে নতুন চালকরা যে কোনও যুদ্ধের প্ল্যাটফর্মে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।
২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত ‘হক এমকে ১৩২’ বিমান শুধু কর্ণাটকের বিদার বায়ুসেনার ঘাঁটিতেই ছিল। চারটি স্কোয়াড্রনের অধীনে এই ‘অ্যাডভান্সড ট্রেনার’ বিমানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ চালানো হতো। কিন্তু কলাইকুণ্ডাকে আধুনিকভাবে সাজানোর পর সেখানে আরও একটি ‘হক এমকে ১৩২’-এর ঘাঁটি বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এরপরই ২০১৩-’১৪ সালে বিদার ছাউনি থেকে অনেকগুলি ‘হক এমকে ১৩২’ বিমান কলাইকুণ্ডায় নিয়ে আসা হয়। এছাড়াও চারটি স্কোয়াড্রনকে ভাগ করে দেওয়া হয়।