বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
কোনও বিয়েবাড়িতে গেলেই নিজের বিয়ে কবে হবে, এমন প্রশ্ন তুলে বাবার কাছে আবদার করত অজয়। সদ্যই অজয়ের খুরতুতো ভাইয়ের বিয়েতেও একইভাবে বিয়ে করার আবদার করে অজয়। কিন্তু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন অজয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য বিষ্ণুভাই পাত্রী খুঁজে পাননি। তাই ছেলের মুখে হাসি ফোটাতেই বিয়ের আয়োজন করে ফেলেন তিনি। কনে নাই বা জোগাড় হোক, তাতে কী আছে। ছেলের আবদার পূরণ করাই বিষ্ণুভাইয়ের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই এহেন বিয়ে লোক হাসানো হবে কি না, সেসব না ভেবেই তিনি এগিয়ে যান। বিষ্ণুভাইকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে অল্প বয়সেই তার মা’কে হারিয়েছে। সে বিয়েবাড়িতে গিয়ে খুব আনন্দ পায়। আর কোনও বিয়েবাড়ি গেলেই সে আমাদের প্রশ্ন করে যে, তার বিয়ে কবে হবে। আমরা কোনও উত্তর দিতে পারি না। কারণ তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা কোনও পাত্রী খুঁজে পাই না। তাই আমার ছেলের খুশির জন্যই আমি এই বিয়ের আয়োজন করেছি। তাতে অন্তত অজয়ের মনে হবে যে তার বিয়ে হচ্ছে।’ ছেলের মুখে হাসি ফুটিয়ে বিষ্ণুভাইয়ের প্রশস্তি, ‘আমি খুব খুশি। কারণ তার (অজয়ের) মনে হচ্ছে যে, সে বিয়ে করছে। সমাজ কী মনে করবে এসব না ভেবেই আমার ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। আমি এবার শান্তি পেলাম।’