বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
বিরহা গায়ক ২১ বছরের ধর্মেন্দ্র যাদব ভক্তকুলের কাছে ‘বজরঙ্গি’ নামে পরিচিত। এখন তিনি এসপির হয়ে প্রতিদিন দু’টি করে শো করছেন। তাঁর কথায়, দৈনিক ছ-সাতটি অনুষ্ঠানের অনুরোধ থাকলেও, সময়ের জন্য তা রক্ষা করা যাচ্ছে না। এসপি-বিএসপি-আরএলডি জোট প্রার্থী সনাতন পাণ্ডের হয়ে প্রচারমূলক গান তৈরি করেছেন ধর্মেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছে, ‘বুয়া-ভাতিজা জোট বেঁধেছে। এরফল ভালো হবে। পদ্মফুল কুঁকড়ে যাবে। সাইকেলের ছবি দেওয়া পতাকা উড়বে।’ শহরের অপর প্রান্তে আবার শোনা যাচ্ছে বিরহা গায়ক দীনেশ সাইনি আজাদের গান। বিজেপি প্রার্থী বীরেন্দ্র সিংয়ের হয়ে তিনি গান বেঁধেছেন, ‘মোদি এলে বুয়া-ভাতিজা এবং পাপ্পুর মা দৌড়ে পালাবেন।’ সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রার্থী বীরেন্দ্র সিং বলেন, ‘বালিয়ার সঙ্গে বিরহা গানের অনেক পুরনো সম্পর্ক। তাই এখানে বলিউডি গানের থেকেও বিরহা গান বেশি শোনা যায়।’
বিরহা শিল্পী অজিত নন্দনের মতে, নির্বাচনের সময় গায়করা শুধু উপার্জনই করেন না, তাঁদের প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পান। দু-তিনঘণ্টার অনুষ্ঠানের জন্য বিরহা শিল্পীরা দু’হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পান। এক একটি দলে চার থেকে পাঁচজন সদস্য থাকেন। এই শিল্পীদের কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল ধরা নেই। যে দল বেশি টাকা দেবে তাদের হয়েই গান বাঁধবেন এই শিল্পীরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষক যোগিন্দর সেনগার বলেন, ৮০ শতাংশ বিরহা শিল্পীই আহির সম্প্রদায়ের। অখিলেশ যাদব মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় আহিরদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাই অধিকাংশ আহির বিরহা গায়ক এসপির হয়ে গান করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।