কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এর পিছনে সংগঠনের আর্থিক সঙ্কটকেই দায়ী করছেন ইপিএফওর কর্তাব্যক্তিরা। কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে ইপিএফের সুদের হার গতবারের থেকে ১০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৮.৬৫ শতাংশ করা হয়েছে। গ্রাহকদের এই বেশি হারে সুদ দেওয়ার কারণে ইপিএফওর ভাঁড়ারে মজুত অর্থের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এবার যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকায়। যা গত তিন বছরের মধ্যে সবথেকে কম। অর্থের অভাবের কারণেই বিশেষজ্ঞ কমিটি সুনির্দিষ্টভাবে ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ ১ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২ হাজার টাকা করার সুপারিশ করলেও তা কার্যকর করা যায়নি। কারণ সেক্ষেত্রে ইপিএফওকে বছরে অতিরিক্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সংস্থান করতে হত। ইপিএফও সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের মাসের পুরো বেতনের উপর পেনশন দিতে হলে প্রবল সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সবথেকে বড় কথা, সংশ্লিষ্ট আইনে এভাবে মাসিক পুরো বেতনের উপর পেনশন ধার্য করার নিয়ম নেই। সেক্ষেত্রে ইপিএফ আইনে সংশোধন ঘটাতে হবে।
বর্তমানে দেশের যেসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ২০ জন কর্মচারী রয়েছেন, সেগুলি ইপিএফওর আওতায় থাকে। ওইসব কর্মচারীর মধ্যে যাঁরা মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা বেতন পান, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা ইপিএফের আওতায় থাকেন। একজন গ্রাহক প্রতি মাসে তাঁর মূল বেতন (বেসিক স্যালারি) এবং মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) ১২ শতাংশ অর্থ ইপিএফ খাতে কন্ট্রিবিউট করেন। ওই কর্মীর হয়ে তাঁর সংস্থা কর্তৃপক্ষ জমা দেয় আরও ১২ শতাংশ অর্থ। এর মধ্যে ৩.৬৭ শতাংশ যায় কর্মীর ইপিএফ খাতে। বাকি ৮.৩৩ শতাংশ যায় তাঁর পেনশন অ্যাকাউন্টে। কিন্তু যদি পদোন্নতি বা অন্য কোনও কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মীর মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকার থেকে বেড়ে যায় এবং তিনি তারপরেও ইপিএফের আওতায় থাকতে চান, তাহলে তাঁর পেনশনের খাতে কন্ট্রিবিউশন জমা পড়ে ওই ১৫ হাজার টাকার উপর ভিত্তি করেই। কর্মীর বর্ধিত বেতনের উপর নয়। ঊর্ধ্বসীমা বিচার না করে মাসের এই পুরো বেতনের উপরই পেনশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেরল হাইকোর্ট।