বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
কনক্লেভে আইজেএম কলকাতার পার্টনারশিপ এনগেজমেন্টের অধিকর্তা শিশির ঠানিকাল বলেন, মানব পাচার এখন সারা বিশ্বের সমস্যা। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ এই সমস্যায় আক্রান্ত। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের প্ল্যাটফর্মকে নানাভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যে ছবি বা ভিডিওগুলি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দেওয়া হচ্ছে, সেটাই অপরাধীরা লুফে নিচ্ছে। তারপরই তারা অপরাধ সংগঠিত করছে। মাথায় রাখতে হবে, আমরা যতটা সংগঠিত, আমাদের থেকেও অনেক বেশি সংগঠিত অপরাধীরা। সেকারণে তাদের পদ্ধতি বদল করছে।
এদিন বক্তাদের আলোচনায় একটি বিষয় পরিষ্কার হয়, মানব এবং শিশু পাচার ক্রমশ বাড়ছে। কোথাও কাজের জন্য, কোথাও বিয়ের টোপ দিয়ে পাচার করা হচ্ছে। টেক্সাস খ্রিস্টিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ ভেনেসা বাউচে বলেন, এই পাচারের ঘটনা কমানোর জন্য প্রত্যেককেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। সরকারের শীর্ষস্তর থেকে একেবার নীচের স্তর পর্যন্ত প্রত্যেককেই সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় এই সমস্যা নিরসনে আগ্রাসী ভূমিকা থাকা প্রয়োজন।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৮ হাজার মেয়ে এই দেশ থেকে পাচার হচ্ছে। শিশু পাচারের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। কিন্তু প্রতিকার কী? বক্তাদের আলোচনায় উঠে এসেছে, প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি এক্ষেত্রে বড়সড় ভূমিকা নিতে পারে। আমেরিকান সেন্টারের অধিকর্তা জেমস ড্রাগন অনুষ্ঠানের ফাঁকে বললেন, পাচার বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে দারিদ্রতা। ইন্দো-নেপাল, ইন্দো-বাংলাদেশ এবং ইন্দো-ভুটান, এই বিশাল সীমান্তবর্তী এলাকায় দারিদ্রই হচ্ছে মানব পাচারের অন্যতম কারণ। কাজের টোপ বা অন্যান্য সুযোগের ফাঁদ পেতে পাচারকারীরা নিজেদের কাজ হাসিল করে যাচ্ছে। আমেরিকান কনসাল জেনারেল প্যাটি হফম্যান বলেন, আমেরিকার সরকার এই বর্বরোচিত অপরাধ রোখার কাজ করছে। অন্যদিকে, দিল্লির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে রবিকান্ত বলেন, প্রতিরোধ হচ্ছে। কিন্তু তা আরও বাড়াতে হবে। এ রাজ্যে প্রশাসনের স্বয়ংসিদ্ধা প্রকল্প পাচার রোধে বড়সড় ভূমিকা নিয়েছে। কিন্তু পাচার হওয়ার পরে উদ্ধার হওয়া মানব বা শিশুদের প্রয়োজনীয় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই সব নির্যাতিতাদের কোনওরকম পরিচয়পত্র থাকে না। যেকারণে তারা অর্থনৈতিক বা অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। সেই সমস্যা সমাধানের জন্যও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার দফায় দফায় বৈঠক করেছে।