বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
দেশের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অযোধ্যার জমি বিতর্ক মেটাতে মধ্যস্থতার উপর নতুন করে ভরসা রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ তিনজনের একটি প্যানেল গঠন করে দেয়। ওই প্যানেলে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এফএমআই কলিফুল্লা, বর্ষীয়াণ আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু এবং আধ্যাত্মিক গুরু শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর। আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ গোপন রেখে মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া আট সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই বৈঠককে ঘিরে নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে। অযাচিত উপস্থিতি এড়াতে কড়া নজরদারিও ছিল ক্যাম্পাসের চারপাশে। আর এই নিরাপত্তা জোরদার করার প্রশ্নেই জেলা প্রশাসন নিরাপদ জায়গা হিসেবে ফৈজাবাদের অয়ূধ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকেই বেছে নেয়। মধ্যস্থতাকারী প্যানেলের তিনজনই গতকাল ফৈজাবাদে এসে পৌঁছান।
আলোচনার নির্ঘণ্ট ঠিক করে মামলাকারী ২৫টি সংগঠনের প্রতিনিধিদের কাছে নোটিস পাঠিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এদিন তাঁদের সকলেই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন। রাম জন্মভূমি পুনরুদ্ধার সমিতির তরফে ছিলেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। যোগ দেওয়া প্রতিনিধিদের মধ্যে একমাত্র তিনিই সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, আলোচনা শুরু হয় সকাল ১০ টায়। অত্যন্ত ভালো পরিবেশে কথাবার্তা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী সবার মধ্যেই ‘সমন্বয়ের ভাবনা’ও ছিল বেশ স্পষ্ট।
নির্মোহী আখড়ার মহন্ত দীনেন্দ্র দাস, রামলালা বিরাজমানের ত্রিলোকীনাথ পাণ্ডে, দিগম্বর আখড়া মহন্ত সুরেশ দাস, হিন্দু মহাসভার স্বামী চক্রপানি এবং কমলেশ তিওয়ারি আলোচনায় হাজির ছিলেন। অন্যদিকে, প্যানেলের মুখোমুখি হয়েছিলেন ব্যক্তি বিশেষে মামলাকারী ইকবাল আনসারি, মহম্মদন উমর এবং হাজি মেহবুব। জমিয়েত উলেমা-ই-হিন্দের তরফে ছিলেন মৌলানা আশাদ রশিদি। উত্তরপ্রদেশের শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের শীর্ষকর্তা ওয়াসিম রিজভি এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের একজন প্রতিনিধিও এদিন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।