বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
২০১৪ সালে মোদি ঝড়ের মুখে কার্যত উড়ে যায় মায়বতীর বসপা এবং অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। দিশাহীন হয়ে পড়ে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসও। তারপর পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটপ্রচারের জন্য এই মুহূর্তে বিজেপির হাতে রয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলা, সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ, অযোধ্যার মতো ইস্যু। কিন্তু তারপরও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে বিজেপির জয় নিশ্চিত, এমন কথা জোর গলায় বলতে পারছেন না কোনও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞই। বরং শোনা যাচ্ছে উল্টো মত। মনে করা হচ্ছে, সমাজবাদী পার্টি-বসপা জোটের কাছে পর্যদুস্ত হতে পারে গেরুয়া শিবির।
পূর্বাঞ্চলের ২২টি জেলায় ঘন জনবসতি, অনুন্নয়ন, ধান উৎপাদনকারী অঞ্চল ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনের কথা মাথায় রেখেই ভোটের ঘুঁটি সাজায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল। একই পথে হাঁটছে বিজেপিও। কিন্তু জটিলতাও রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার কিছুদিন আগে থেকেই বুন্দেলখণ্ড সহ গোটা পূর্বাঞ্চল নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছে স্থানীয় সংগঠনগুলি। রাজ্যের যাবতীয় সুযোগসুবিধা চেয়েও দাবি তুলেছে তারা। কিন্তু সেই দাবি মানতে রাজি ছিলেন না উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ২০১৮ সালে নিজের অবস্থান কিছুটা বদল করেন তিনি। বুন্দেলখণ্ড ও পূর্বাঞ্চলের জন্য পৃথক উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রিসভা। দু’টি বোর্ডেরই প্রধান পদে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করার আগেই পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন বোর্ডের সহ সভাপতি পদে প্রাক্তন কংগ্রেসি ডঃ দয়াশঙ্কর মিশ্র ‘দয়ালু’কে নিযুক্ত করেন যোগী আদিত্যনাথ। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ছেড়ে ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন দয়াশঙ্কর। ২০১৪ সালের মতো এবারও পূর্বাঞ্চল সহ গোটা উত্তরপ্রদেশে জয়ের ছক কষছে বিজেপি। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে খবর, এবারের নির্বাচনে কার্যত কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে বিজেপির জন্য। কারণ পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন বোর্ড গড়া হলেও এখানকার ২২টি জেলার মধ্যে মাত্র তিনটি জেলায় অধিকাংশ উন্নয়ন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র বারাণসী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহার জেলা গাজিপুর ও অনুপ্রিয়া প্যাটেলের মির্জাপুর।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে কংগ্রেস সেভাবে প্রভাব ফেলতে না পারলেও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপস্থিতি এখানে বড় ‘ফ্যাক্টর’ হতে চলেছে। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিয়াঙ্কার উপস্থিতিতে কংগ্রেসের পুরনো কর্মীরাও চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। নতুন কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাজির হয়েছেন ময়দানে। পুলওয়ামাকাণ্ডের পর তাঁর ‘নীরব’ সাংবাদিক বৈঠক মানুষের মন জয় করে নিয়েছে বলেও জানান অনেকে।