নয়াদিল্লি ও লখনউ, ১২ মার্চ (পিটিআই): লোকসভা নির্বাচনে কোনও রাজ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে না বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা)। মঙ্গলবার লখনউতে একথা সাফ জানিয়ে দিলেন দলের সুপ্রিমো মায়াবতী। যতদিন যাচ্ছে বিরোধীদের মহাজোটে ফাটল চওড়া হচ্ছে। শুরুটা হয়েছিল সেই উত্তরপ্রদেশে থেকেই। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোকদলের সঙ্গে জোট ঘোষণা করেছিলেন মায়াবতী। সৌজন্যের খাতিরে শুধু রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর আসন দু’টিকে ছাড় দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এরপরেই উত্তরপ্রদেশে ১১টি আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। এরপরই এদিন মহাজোটকে আরও বড় ধাক্কা দিলেন সেই মায়াবতীই। বিশেষ করে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের দিনেই তাঁর এই ঘোষণা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আজ নয়াদিল্লিতে দলের বিভিন্ন রাজ্যের নেতাদের নিয়ে এক সভায় উপস্থিত ছিলেন দলিত নেত্রী। সেখানে তিনি বলেন, একাধিক দল বসপার সঙ্গে জোটে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। কিন্তু তাঁর দল স্রেফ নির্বাচনী লাভের কথা ভেবে এমন কিছু করবে না যাতে বসপা আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উত্তরপ্রদেশে ৩৮ আসনে লড়ছে বসপা। মূলত, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে নিজেদের শক্ত ঘাঁটিগুলিতেই প্রার্থী দিচ্ছেন মায়াবতী।
সপা-বসপা জোট ঘোষণার পর মায়াবতীও জানিয়ে ছিলেন যে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে হারানোর জন্য সপা-বসপা জোটই যথেষ্ট। তবে, কংগ্রেসের কাছে এই জোটকে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছিলেন অখিলেশ যাদব। কিন্তু বাস্তবে তা মানেননি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ফলত, মহাজোটের ঐক্য এখন প্রশ্নের মুখে। উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগেও মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে সরকার গঠনের সময় কংগ্রেসকে সমর্থন দিতে রাজি হয়েছিলেন মায়াবতী। এই ক’মাসে পরিস্থিতি এতটা বদলে গেল কীভাবে তা বুঝতে পারছেন না অনেকেই।
উল্টোদিকে বিজেপি কিন্তু জোটের দিক থেকে কোনও ভুল করেনি। বিহার বা তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলিতে এনডিএ-র নতুন-পুরনো শরিক দলগুলির বেশি আসনের দাবিকে মান্যতা দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির দল। একই ফর্মুলা মেনে মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হওয়া শিবসেনার সঙ্গেও জোট করতে সক্ষম হয়েছে তারা। শরিকি বিবাদের জের ভোটের ময়দানে পড়বে না বলেই আশাবাদী অমিত শাহরা।