বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বিজেপির সঙ্গে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠতা থাকলেও রাজনীতিতে সরাসরি যোগদানের ব্যাপারে গৌতম গম্ভীরকে কোনওদিনই আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে অমৃতসরে অরুণ জেটলির হয়ে জোরদার প্রচার করেন। যদিও অরুণ জেটলি জয়ী হতে পারেননি। গত বছর ডিসেম্বরে ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাস নিলেও কমিউনিটি কিচেন এবং ক্রিকেটের ধারাভাষ্য নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত গৌতম গম্ভীর। পাশাপাশি, ট্যুইটারে দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। তবে, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কড়া প্রতিক্রিয়া ‘নতুন ইনিংস’ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল। পুলওয়ামায় শহিদ পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতম। সম্প্রতি পদ্মশ্রী সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন।
তবে, গৌতম গম্ভীরকে প্রার্থী করার আগে অন্য অঙ্ক কষতে হচ্ছে বিজেপি নেতাদের। দিল্লিতে আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট না হলে ত্রিমুখি লড়াই হবে। সেই লড়াই থেকে বিজেপির ফায়দা লাভের সম্ভাবনা প্রবল। তখনই নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে প্রাক্তন ওপেনারকে দাঁড় করানো হতে পারে। গত লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি কেন্দ্রে মোদি ঝড়ে ধরাশায়ী হয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু এই পাঁচ বছরে মোদি ঝড় অনেকটাই কমেছে। তার মধ্যে দিল্লিতে আম আদমি পার্টির নতুন করে উত্থান এবং বিজেপির শক্তি ক্ষয় চিন্তিত করে তুলেছে অমিত শাহদের। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে বিজেপির সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র তিনে। এই পরিস্থিতিতে আপের সঙ্গে কংগ্রেসের সাম্ভাব্য জোট বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে পারে। যদি জোট হয়, তাহলে গৌতম গম্ভীরের মতো অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে প্রার্থী আদৌ করা হবে কি না, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে বিজেপি। আর যদি গৌতম গম্ভীর বিজেপি প্রার্থী হন, তাহলে রাজনীতিতে প্রাক্তন ক্রিকেটারের সংখ্যা আরও বাড়বে। এর আগে কীর্তি আজাদ, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, নভজ্যোৎ সিধু এবং মহম্মদ কাইফ ভোটে লড়াই করেছেন।