রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন মাত্র দু’ঘণ্টার নোটিসে হাজরা থেকে মিছিল শুরু হয়। দলীয় পতাকাকে সরিয়ে জাতীয় পতাকাকে সামনে রেখে মিছিল করেন মমতা। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে হাজির হন দলীয় কর্মীরা। চারটে বাজতে পাঁচ মিনিট আগে থাকতেই আশুতোষ কলেজের সামনে চলে আসেন মমতা। তখনই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে পড়তে হয়। সে সময় মিছিলের লাইন ঠিক করতে দেখা যায় রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে। মমতার পিছনে বড় ব্যানারে লেখা ছিল, ‘উই স্যালুট আওয়ার জওয়ানস’। ঠিক চারটে’তেই মোমবাতি হাতে মিছিলে হাঁটতে শুরু করেন মমতা। তাঁর পাশে ছিলেন দোলা সেন, ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ডাঃ শশী পাঁজা এবং শিউলি সাহা। তাঁদের মুখ ছিল কালো কাপড়ে বাঁধা। তৃণমূল সুপ্রিমোকে দেখার জন্য ও ছবি তোলার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। তা সামাল দিতে দেখা যায় ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাসকে। মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও।
মিছিল যত এগিয়েছে, ভিড় ততই বেড়েছে। এক্সাইড মোড়ে অনেকে শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্টার হাতে দাঁড়িয়েছিলেন। বাড়ি উপর থেকেও অনেকে ছবি তোলেন। মিছিল গান্ধী মূর্তিতে আসে বিকেল ৫টার পর। অনেকের মোমবাতি নিভে গেলেও গোটা রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তা জ্বলতে দেখা যায়। তিনি গান্ধীমূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে মমতার নির্দেশে ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গান করেন দোলা সেন। গলা মেলান মমতাও। বীর জওয়ানদের উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়।
পরে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় মমতা বলেন, আমরা আমাদের জওয়ানদের আত্মত্যাগকে কখনওই ভুলব না। আমি তাঁদের স্যালুট জানাচ্ছি। তাঁদের পাশে আমরা আছি। সহমর্মিতা দেখানোর জন্যই এই মৌন মিছিল। আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে সবাই সম্মান করি। কিন্তু জঙ্গি হামলা নিয়ে ধর্ম-জাতপাত দেখলে হবে না। আমরা এখানে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান একসঙ্গে থাকি। আমাদের দেশের ঐক্যের কথা ভাবতে হবে। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রবিবার প্রতিটি ব্লকে মৌন মিছিল করবে তৃণমূল। এদিন বরো চেয়ারম্যান মিনু চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সল্টলেকেও মৌন মিছিলে হয়েছে।