নয়াদিল্লি, ১১ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নির্ধারণ করা হোক। এই আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। সোমবার এই মামলায় জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনকে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। অশ্বিনী উপাধ্যায়কেও কমিশনের কাছে নতুন করে আবেদন করতে বলা হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যানের হিসেবে ভারতে হিন্দুরা হল সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়। কিন্তু উত্তর-পূর্বের বেশ কিছু রাজ্য এবং জম্মু ও কাশ্মীরে তারাই সংখ্যালঘু। তা সত্ত্বেও সেখানে কোনওরকম সুযোগসুবিধা পায় না হিন্দুরা। সাতটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুদের জন্য সংখ্যালঘু মর্যাদা গত বছর চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন অশ্বিনী উপাধ্যায়। গত ১০ নভেম্বর তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তাঁকে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এর পরে ফের রাজ্যের জনসংখ্যার নিরিখে নতুন করে ‘সংখ্যালঘু’ সম্প্রদায়ের সংজ্ঞা নির্ধারণ করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অশ্বিনী। এদিন তার শুনানিতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাঁর আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী হিন্দুরা আটটি রাজ্যে সংখ্যালঘু। সেগুলি হল, লাক্ষাদ্বীপ (২.৫ শতাংশ), মিজোরাম (২.৭৫ শতাংশ), নাগাল্যান্ড (৮.৭৫ শতাংশ), মেঘালয় (১১.৫৩ শতাংশ), জম্মু ও কাশ্মীর (২৮.৪৪ শতাংশ), অরুণাচল প্রদেশ (২৯ শতাংশ), মণিপুর (৩১.৩৯ শতাংশ) এবং পাঞ্জাব (৩৮.৪০ শতাংশ)। কিন্তু রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রের তরফে তাঁদের সংখ্যালঘু মর্যাদা ও অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে হিন্দুরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন অশ্বিনী উপাধ্যায়।