বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এক্ষেত্রে পাখির চোখ একটাই—‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’। কংগ্রেসের মুখপাত্র কপিল সিবাল রবিবার বলেন, ‘২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অর্থসচিব ছিলেন রাজীব মহর্ষি। আর ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রে শুধু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নয়, অর্থমন্ত্রকেরও ভূমিকা রয়েছে। ৫৮ হাজার কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ৩৬টি রাফাল। ফলে রাজীব মহর্ষি কী করে ক্যাগের রিপোর্ট দিতে পারেন? নিজের কাজের বিচারই তো করছেন মহর্ষি! তা কী করে সম্ভব?’ গত শুক্রবার ক্যাগ রিপোর্ট ছাপতে চলে গিয়েছে। আর সংসদ অধিবেশন শেষ হচ্ছে বুধবার। তাই রাহুল গান্ধীর স্পষ্ট নির্দেশ, রাজীব মহর্ষির তৈরি এই রিপোর্ট বয়কট করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এগচ্ছে কংগ্রেস। এবং পাশাপাশি বাকি বিরোধী দলগুলির প্রতিও একই আর্জি জানিয়েছে তারা। একইসঙ্গে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলকে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে রাফালের দাম সংক্রান্ত ক্যাগ রিপোর্ট তৈরি থেকে সরে যাওয়ার আবেদন করেছে কংগ্রেস।
অর্থাৎ একটা বিষয় পরিষ্কার, আগামীকাল, সোমবার থেকে সংসদের অন্দরে ও বাইরে ফের জোরদার বিরোধিতার মুখে পড়তে চলেছে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। আর টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার ফর্মুলাতেই দিল্লির দরবারে বিরোধিতার সুর চড়াবেন বলে স্থির করেছেন। দাবি, অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য স্পেশাল প্যাকেজ। তার জন্য অন্ধ্রভবনে ১২ ঘণ্টার এই কর্মসূচির নাম দিয়েছেন তিনি ‘ধর্মা পোরাতা দীক্ষা’। যে মঞ্চে অন্য বিরোধী দলের নেতানেত্রীরাও উপস্থিত থাকবেন। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার চন্দ্রবাবু এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেও দরবার করবেন।
আবার গোটা দেশের নজর আগামীকাল থাকবে লখনউতেও। কারণ, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম রাজনীতির যুদ্ধক্ষেত্রে নামতে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা। লখনউ বিমানবন্দর থেকে দলের প্রদেশ অফিস নেহরু ভবন পর্যন্ত রোড শো করবেন তিনি। লখনউতেই থাকবেন ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বৈঠক করবেন দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। এর পরের দফায় ভোট ঘোষণা হলে মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে কংগ্রেসের হয়ে প্রচারেও যাবেন তিনি। তাঁর যা কর্মসূচি, তাতে প্রিয়াঙ্কা সাফ বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, আগামীকাল থেকে সরাসরি মোদি-বিরোধিতাই হবে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। স্বামী রবার্ট ওয়াধেরাকে মোদি সরকার টার্গেট করলেও এই ইস্যুতে তিনি পিছপা না হওয়ারই বার্তা দিয়েছেন। ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেস সদর দপ্তরে ঘরের বাইরের নেমপ্লেটে লিখিয়েছেন ‘প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা’। আর ইডির সমন নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘এসব তো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত!’