পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুয়াযী, বিষমদ কাণ্ডে দুই রাজ্য মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে কমপক্ষে ২০০ জন। এদিন উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার থেকে নতুন করে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। জেরায় তারা জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে বিষমদ এনে উত্তরাখণ্ডের গ্রামে বিক্রি করেছিল তারা।
শনিবার রাতে গোরক্ষপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘অতীতেও বহুবার এই ধরনের ঘটনায় সপার নেতাদের প্রত্যক্ষ যোগের প্রমাণ মিলেছে। আজমগড়, হরদোই, কানপুর এবং বরাবাঁকিতে বিষমদে মৃত্যুর ঘটনায় সপার নেতা-কর্মীরা জড়িত ছিলেন। তাই এবারও এমন কোনও ষড়যন্ত্র যে হয়নি, হলফ করে তা বলা যাবে না।’ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক রং না দেখেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সাফ জানান তিনি। যোগীর প্রতিক্রিয়া দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা তোপ দেগেছেন সপা প্রেসিডেন্ট তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। বিষমদে মৃত্যুর জন্য তিনি উল্টে বিজেপি সরকারকেই দায়ী করেন। অখিলেশ বলেন, ‘রাজ্যের বিরোধীরা বারবার শাসকদলকে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে সতর্ক করেছিল। যেহেতু তাদের নিজেদেরই কেউ কেউ এতে জড়িত, তাই সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি। সত্যিটা হল, সরকারের মদত ছাড়া এইধরনের ব্যবসা কখনওই চলতে পারে না। তারা যে রাজ্য চালাতে পারে না, এটা বিজেপির স্বীকার করে নেওয়া উচিত।’ অন্যদিকে, আসন্ন লোকসভা ভোটে সপার শরিক দল বসপার সুপ্রিমো মায়াবতী আবার গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে চাপ বাড়িয়েছেন। সরকারি বিবৃতিতে তিনি জানান, বেআইনি মদের উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে দু’টি রাজ্যের সরকারই অপদার্থতার পরিচয় দিয়েছে। অবিলম্বে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হোক।