বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
গত শুক্রবার নগনগৌড়ার পুত্র শরণগৌড়ার সঙ্গে ইয়েদুরাপ্পার সাক্ষাৎকারের একটি অডিও ফাঁস করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনার অভিযোগ আনেন তিনি। প্রথমে অডিও টেপটি ভুয়ো বলে দাবি করলেও রবিবার সেখানে কণ্ঠস্বরটি নিজের বলে স্বীকার করে নেন ইয়েদুরাপ্পা। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি যে শরণগৌড়া এসেছিলেন এবং আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু, সেই কথোপকথনের নির্দিষ্ট কিছু সংলাপ তুলে ধরা হয়েছে অডিও ক্লিপে।’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিম্নমানের রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছেন ইয়েদুরাপ্পা। তাঁর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, আমি আলোচনার জন্য বিধায়ক পুত্রকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। অথচ, কুমারস্বামীর নির্দেশেই রাত ১২টা নাগাদ দেবদুর্গের বাংলোয় এসেছিলেন বিধায়কপুত্র। আসলে উনি ব্ল্যাকমেল করে ষড়যন্ত্র ফাঁদছেন।’
এরপরেই কুমারস্বামীর দাবি মতো তাঁর বিরুদ্ধে স্পিকারকে ৫০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। ইয়েদুরাপ্পার কথায়, ‘আমি গতকালই বলেছি, আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’ তবে, ইয়েদুরাপ্পার এই স্বীকারোক্তিতে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। ‘অপারেশন লোটাস’-এর নামে অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চাইছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। অডিও টেপটি প্রকাশ্যে আসার পরেই বিজেপি ও অন্যান্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিধায়ক অপহরণের অভিযোগ এনেছে তারা।
একইসঙ্গে, বিজেপির বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন রাজ্যের প্রধান শরিক জেডিএস বিধায়ক কে শ্রীনিবাস গৌড়া। পাশাপাশি, অগ্রিম টাকা নেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। শ্রীনিবাসের কথায়, ‘বিজেপির সি এন অশ্বতনারায়ণ এবং এস আর বিশ্বনাথ আমার বাড়ি এসেছিলেন। ওঁরা আমাকে দল ছাড়ার জন্য ৩০ কোটি টাকা প্রস্তাব দিয়েছিল। সঙ্গে ৫ কোটি অগ্রিম। আমি কুমারস্বামীর সঙ্গে কথা বলি এবং তাঁদের সেই ৫ কোটি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বলি।’