পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
একদিকে অন্ধ্রপ্রদেশকে আর্থিক প্যাকেজ ও বিশেষ মর্যাদার দাবিতে দিল্লির রাস্তায় ধর্না কর্মসূচি নিতে সোমবারই দিল্লিতে হাজির হচ্ছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। শুধু আসাই নয়, এই ধর্না আন্দোলনকে উচ্চকিত তীব্রতায় নিয়ে যেতে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ২০ কামরা বিশিষ্ট দু’টি ট্রেন ভাড়া করেছে। সেই দু’টি ট্রেনে চেপে বিপুল সংখ্যক মানুষ আসছেন ধর্নায় অংশ নিতে। অশোক রোডের অন্ধ্রভবনের সামনে ধর্না অবস্থান করবেন তিনি। আবার মমতা দিল্লি এসেই ওই ধর্নামঞ্চে যাবেন। প্রসঙ্গত, চন্দ্রবাবু নিজেও ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে মমতার ধর্নাস্থলে গিয়েছিলেন। সেখানে মমতা ও নাইডু ঘোষণা করেন তাঁরা দিল্লি আসছেন। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই অন্য বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে চন্দ্রবাবুর। কথা বলেছেন মমতাও। রাজ্যে রাজ্যে মহাজোটের আসন সমঝোতা নিয়ে যে টানাপোড়েন হবেই, তা নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু সেই সম্ভাব্য চাপানউতোরকে সরিয়ে রেখে আরও বেশি করে আগ্রাসী মোদি বিরোধী মঞ্চকে শক্তিশালী রূপ দেওয়া বেশি দরকার। আর তা উপলব্ধি করেই স্থির হয়েছে, যে কোনও মোদি সরকার বিরোধী কর্মসূচিতেই এবার গোটা বিরোধী জোটের নেতানেত্রীরা উপস্থিত হবেন। সেইমতোই আপাতত লোকসভা ভোট যুদ্ধের বিউগল বাজিয়ে দেওয়া হবে দিল্লি থেকেই। ১৩ তারিখে মমতা দিল্লিতে সেই মোদি বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ভূমিকা নেবেন। সেখানেই ঘোষণা করা হবে আগামীদিনের কর্মসূচি।
মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সবথেকে সরব দুই প্রধান সরকার বিরোধী চরিত্র রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখতে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজ একইসঙ্গে দিল্লিতে রবার্ট ওয়াধেরাকে এবং শিলংয়ে রাজীবকুমারকে জেরা করেছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। ওয়াধেরাকে বুধ ও বৃহস্পতিবার সারাদিন জেরা করা হয়েছিল। আজ ফের ডাকা হয় তাঁকে। আজ তাঁকে জেরা করা হয় প্রধানত প্রতিরক্ষা এবং লন্ডনের সম্পত্তি নিয়েও। কেন্দ্রীয় সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে এই অভিযোগেও বিরোধীরা সরব হবে। ফলে লোকসভার অধিবেশন সমাপ্তির পরই ভোটযুদ্ধ শুরু হচ্ছে রাজধানীর রাস্তায়।