পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
এদিন শিবসেনা মুখপত্র ‘সামানা’র সম্পাদকীয়তে রাফাল ইস্যুতে চূড়ান্ত কটাক্ষ করা হল প্রধানমন্ত্রীকে। সেখানে লেখা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সংসদে ‘দেশপ্রেম’ নিয়ে ভাষণ দিয়েছেন মোদি। রাফাল চুক্তির পক্ষে সওয়াল করেছেন। কিন্তু ঠিক তার পরের দিনই ‘কালা নথি’ (প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নোট) প্রকাশ্যে এল। যাঁরা দেশপ্রেমের স্লোগান তুলছিলেন, সংসদে বেঞ্চ চাপড়াচ্ছিলেন, এই নথি তাঁদের নীরব করে দিয়েছে। মোদির কাছে প্রত্যাশা ছিল, বায়ুসেনা নাকি আর্থিক সমস্যায় থাকা এক শিল্পপতির হাত শক্ত করতে রাফাল চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছিল, তার জবাব দেবেন। তবে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করা হলেও শিবসেনার তরফে সরাসরি অনিল আম্বানির নাম নেওয়া হয়নি।
রাফাল ইস্যুতে প্রায় প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন রাহুল গান্ধী। সেই প্রসঙ্গ টেনে শিবসেনার খোঁচা, প্রশ্ন তোলার জন্য বিরোধীদের কেন দোষারোপ করা হচ্ছে? বিরোধীদের হয়তো (রাজনৈতিকভাবে) শেষ করে দেওয়া সম্ভব, কিন্তু সত্যিকে নয়। প্রধানমন্ত্রী হামেশাই যে অভিযোগ করছেন, তা তিনি সংসদেও করেছেন। মোদির অভিযোগ, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে চায় না কংগ্রেস। এবং পরের দিনই ওই নথি সামনে এল। দেখা গেল রাফাল চুক্তিতে মোদির ব্যক্তিগত স্বার্থ কতদূর ছিল। রাফাল সংক্রান্ত লেনদেন সরাসরি সামলেছেন মোদি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী, প্রতিরক্ষা সচিবদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের তা থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। বিমানের দাম কত হবে, বরাত কে পাবে, সব সিদ্ধান্ত মোদি নিজে নিয়েছিলেন। তাই সমালোচনা ও অভিযোগের মুখে পড়তে হবে তাঁকেই।
রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য যেভাবে বিরোধীদের দেশবিরোধীর তকমা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও এদিন কড়া সমালোচনা করা হয়েছে উদ্ধব থ্যাকারের দলের তরফে। শিবসেনার খোঁচা, জাতীয় সুরক্ষার মতো ইস্যুগুলি নিয়ে প্রশ্ন তোলা কীভাবে দেশের সমালোচনার শামিল হয়? জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের সংজ্ঞা বদলে গিয়েছে বর্তমান বিজেপি শাসনে। যাঁরা রাফাল চুক্তির গুণগান করছেন, তাঁরা দেশভক্ত। আর যাঁরা রাফালের দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের এখন বিশ্বাসঘাতকের তরকা দেওয়া হচ্ছে।