পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
আজ ইংরেজি সংবাদপত্র ‘দি হিন্দু’ এই নোট ফাঁস করতেই শুরু হয়েছে তোলপাড়। এখানেই শেষ নয়, ওই নোট পাওয়ার পরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর পাল্টা নোট পাঠিয়ে ওই আধিকারিককে বলেছিলেন শান্ত থাকতে, সব ঠিক আছে। এই সংবাদ ফাঁস হওয়ার পরই, আজ দিনভর সরকারকে সংসদের অন্দরে ও বাইরে চেপে ধরেছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী নতুন করে আজ প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, প্রমাণ হয়ে গেল রাফাল ক্রয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। খোদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোপন নোটেই স্পষ্ট যে, দেশের যুবসমাজের প্রাপ্য ৩০ হাজার কোটি টাকা স্বয়ং মোদিই হরণ করে অনিল আম্বানির পকেটে দিয়ে দিয়েছেন। ওই নোটই বুঝিয়ে দিল, সরকারের চৌকিদার যিনি তিনিই চোর! রাহুলের এই আক্রমণের পাশাপাশি আজ সংসদে কংগ্রেসসহ তাবৎ বিরোধীদল প্রবল শোরগোল করে দাবি করে এবার যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করতেই হবে।
ওই হট্টগোলের পর দফায় দফায় সংসদ মুলতুবি হয়ে যায়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রকাশিত ওই নোটকে সংসদের মধ্যে ও বাইরে অসম্পূর্ণ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সংবাদটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সরকারকে বদনাম করার জন্যই এভাবে নোট ফাঁস করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর খোঁজখবর করবে এটাই স্বাভাবিক। সরকারি আলোচনার গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সর্বদাই অবহিত থাকতে চাইছে, একে কি হস্তক্ষেপ বলা যায়? বিরোধীদের সব অভিযোগের জবাব আগেই দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বুঝেছে যে রাফাল নিয়ে সত্যিই কোনও অভিযোগ নেই। নির্মলা বলেন, বিরোধীরা রাফাল ইস্যুতে স্রেফ মৃত ঘোড়ায় সওয়ার হয়েছে। কোনও লাভ হবে না। যে সচিবের নোট নিয়ে এই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে সেই জি মোহনকুমার আজ বলেছেন, ওই নোটের সঙ্গে রাফালের দামের কোনও সম্পর্ক নেই। ওটা একটা পদ্ধতিগত প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তবে এই নোট ফাঁসকে ভোটের আগে বড়সড় অস্ত্র হিসাবেই ভাবছে কংগ্রেসসহ বিরোধীরা।