পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
একা রবার্ট নয়। আজ এই একইদিনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের পুত্র কার্তি চিদম্বরমকেও ডাকা হয় জেরার জন্য। দিল্লির জামনগর হাউসে পাশাপাশি ঘরে চলতে থাকে এই জিজ্ঞাসাবাদ। রবার্ট ওয়াধেরার আইনজীবী কে টি এস তুলসী বলেছেন, রবার্টের সঙ্গে ডিফেন্স ডিলের এক ব্যাবসায়ীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর ইডি। অথচ সেরকম কোনও সম্পর্কই নেই। সেকথা বারংবার অস্বীকার করা হয়েছে। প্রমাণও দেওয়া হয়েছে। রবার্ট ওয়াধেরার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, জমি ক্রয় এবং বেনামী সম্পত্তি তিন চারটি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে। লণ্ডনে তাঁর নামে একাধিক সম্পত্তি আছে বলে সন্দেহ করছে ইডি। যদি সেগুলি তাঁর নামে নয়। কিন্তু তাঁর টাকাতেই ওই বাড়িগুলি ক্রয় করা হয়েছে বলে ইডি মনে করে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরই রবার্ট ওয়াধেরার বিরুদ্ধে ইডির জেরা ও তদন্ত আরও জোরদার হয়েছে। আগামীদিনে সেই জেরার প্রক্রিয়া যে আরও বাড়বে তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কারণ দিল্লিতে লাগাতার জেরার পর এবার তাঁকে জয়পুরে যাওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ একদিকে যখন জামনগর হাউসে রবার্টকে অন্তত ৪০ জন ইডি অফিসার মিলে জেরা করেছেনে, তখনই অনতিদূরে কংগ্রেসের কার্যালয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সারাদিন ধরেই প্রায় দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সামিল হয়েছিলেন। দাদা রাহুল ও তিনি আজ কংগ্রেসের কর্মী ও নেতাদের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে কথা বলেন। গতকাল রবার্টকে স্বয়ং প্রিয়াঙ্কাই এই ইডি দপ্তরে নামিয়ে দিয়েছিলেন। এবং বলেছিলেন, তিনি পরিবারের পাশেই আছেন সর্বদা। ঠিক এরকম এক পরিস্থিতিতে আগামীদিনে রবার্টকে ঠিক কতটা সঙ্কটের মধ্যে পড়তে হবে সেটা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। শেষ পর্যন্ত কী সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়া গেলে রবার্টকে গ্রেপ্তার করা হবে? এই প্রশ্নই উঠছে আজ থেকে। লোকসভা ভোটের আগে রবার্ট ওয়াধেরাকে গ্রেপ্তার করা হলে তার রাজনৈতিক অভিঘাত কতটা হতে পারে সেটাই দেখার। প্রিয়াঙ্কা যেমন বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি এই ব্যাপারে পিছু হটতে রাজি নন। আজ জেরার শেষে তাই রবার্টকে নিতে আসেন তিনি।