পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
গত বছর সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রের আধার প্রকল্পকে সাংবিধানিকভাবে বৈধ আখ্যা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, আয়কর জমা দিতে প্যানের সঙ্গে আধার যোগ বাধ্যতামূলক হবে কি না, তা ঠিক করতে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চও গঠন করে আদালত। ওই বেঞ্চ অবশ্য আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করার পক্ষেই রায় দেয়। শুধু তাই নয়, প্যানের সঙ্গে আধার কার্ডকে লিঙ্ক করতে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমাও বেঁধে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার বণিকসভা অ্যাসোচেমের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিবিডিটি’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘আধার কার্ড লিঙ্ক করা থাকলে ডুপ্লিকেট বা ভুয়ো প্যান কার্ড খুব সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। দেশে এমন ভুয়ো প্যান কার্ড প্রচুর রয়েছে। তাই যে প্যান কার্ডগুলির সঙ্গে আধার যুক্ত করা থাকবে না, আমরা সেগুলি বাতিলও করে দিতে পারি।’ আয়কর আইনের ১৩৯ এএ (২) ধারায় বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত যে সমস্ত নাগরিকের প্যান কার্ড রয়েছে এবং আধার কার্ড পাওয়ার উপযুক্ত, তাঁদের অবশ্যই প্যানের সঙ্গে আধারকে সংযুক্ত করতে হবে।
সিবিডিটি’র চেয়ারম্যান সুশীল চন্দ্র জানান, একবার যদি আধারের সঙ্গে প্যান এবং প্যানের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যুক্ত হয়ে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট আয়করদাতার আর্থিক বিভিন্ন তথ্য, খরচ করার ধরন ইত্যাদি সম্পর্কে সহজেই জানা যাবে। পাশাপাশি, যেহেতু বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পেও আধার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই ওই প্রকল্পগুলির সুবিধা সংশ্লিষ্ট নাগরিক পাচ্ছেন কিনা, সেটাও একলহমায় জেনে নেওয়া সম্ভব হবে। রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি আরও জানান, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৬ কোটি ৩১ লক্ষ মানুষ আয়কর জমা দিয়েছেন। গতবছর এই সময় সংখ্যাটা ছিল ৫ কোটি ৪৪ লক্ষ। এখনও পর্যন্ত ৯৫ লক্ষ নতুন আয়করদাতার অন্তর্ভুক্তি ঘটিয়েছে আয়কর দপ্তর বলেও জানান তিনি।
সুশীল চন্দ্র বলেন, ‘যারা আয়কর জমা দেয় না, চলতি বছরে তাদের খুঁজে বার করতে নন ফাইলারস্ মনিটরিং সিস্টেমের (এনএমএস) উপর জোর দিয়েছি আমরা।’ কোনও ব্যক্তি যিনি বড়সড় আর্থিক লেনদেন করেছেন এবং সেই অনুপাতে আয়কর জমা দেননি, এই নয়া এনএমএস সিস্টেমের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই তাদের কাছে ২১ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বলেই জানান সিবিডিটি’র চেয়ারম্যান। তবে, ১২৫ কোটি জনসংখ্যার দেশে যেখানে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ, সেখানে এক কোটি টাকার বেশি আয় থাকা মাত্র দেড় লক্ষ মানুষ আয়কর জমা দিয়েছেন দেখে উষ্মাপ্রকাশ করেন সুশীল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’