পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, রেলে ‘ইকো-স্মার্ট’ স্টেশনের ধারণা একেবারেই নতুন। রেল বোর্ড থেকে এ ব্যাপারে তৎপরতা বাড়াতে জোনগুলিকে বলা হয়েছে এবং কী ধরনের পরিকাঠামো রূপায়ণ জরুরি, তাও মোটের উপর ঠিক হয়েছে। রেলের এই তৎপরতাকে যাত্রীরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তাঁদের বক্তব্য, পরিবেশ সচেতনতা এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বর্তমানে সময়ের দাবি। তাই সেই কাজ গুরুত্ব দিয়েই করতে হবে। পাশাপাশি সময়ে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া, যাত্রীদের সুরক্ষা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা বাড়ানোর কাজও সমানতালে করে যেতে হবে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘ইকো-স্মার্ট’ স্টেশন হিসেবে দীঘা এবং রাঁচি স্টেশনে জলের অপচয় বন্ধ করা হবে। দুই স্টেশনে সোলার প্যানেল বসানো হবে। কতটা জায়গায় তা বসানো যায়, তা দেখা হচ্ছে। দুই স্টেশনেই বসানো হবে ই-টয়লেট। সেগুলির দরজা খোলা, বন্ধ হওয়া, ফ্ল্যাশ হওয়া সবকিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে। রাঁচি স্টেশনে এই ধরনের একটি টয়লেট ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। জল খেয়ে যাতে যত্রতত্র বোতল ফেলা না হয়, তার জন্য দুই স্টেশনেই ‘বোতল ক্রাশিং মেশিন’-এর সংখ্যা বাড়ানো হবে। বর্তমানে দীঘা স্টেশনে দু’টি এবং রাঁচি স্টেশনে তিনটি বোতল ক্রাশিং মেশিন রয়েছে। একই উদ্দেশ্যে দুই স্টেশনেই প্ল্যাস্টিক ক্যারিব্যাগ এবং চায়ের কাপ নিষিদ্ধ করা হবে। স্টেশনের স্টলগুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হবে। দুই স্টেশনের ‘পেস্ট কন্ট্রোল’-এ আরও জোর দেওয়া হবে। ব্যবহৃত জলের পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হবে। স্টেশন চত্বরে আরও গাছ লাগানো হবে। তার জন্য রাজ্যের বন দপ্তরের সহযোগিতা চাওয়া হবে। দুই স্টেশনেই রেলের ‘সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুল-২০১৬’ মোতাবেক পরিকাঠামো তৈরি করা হবে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, প্রথম পর্যায়ে ‘ইকো-স্মার্ট’ স্টেশন তৈরিতে আমাদের জোনের মধ্যে থাকা দুই রাজ্যের দু’টি স্টেশনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই তার কাজ শুরু হবে। পরবর্তী পর্যায়ে এই তালিকায় আরও স্টেশন অন্তর্ভুক্ত হবে।