বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বিজেপির আশ্বাস সত্ত্বেও চিঁড়ে খুব একটা ভিজছে না। এদিনও রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে আগুন জ্বলেছে। রাস্তায় নেমে ক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। অসম সরকার ক্ষোভ দমনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করায় আকাদেমি পুরস্কারজয়ী অসমিয়া সাহিত্যিক হীরেন গোহাইন, প্রবীণ সাংবাদিক মনোজিৎ মহান্ত এবং কেএমএসএস নেতা অখিল গগৈয়ের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করেছে পুলিস। গুয়াহাটির পুলিস কমিশনার দীপক কুমার জানিয়েছেন, ১২৪ (এ) দেশদ্রোহিতা এবং ১২০ (বি) ফৌজদারি ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় তিনজনের বিরুদ্ধে লতাসিল পুলিস স্টেশনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি নাগরিক সমাজে তাঁদের বক্তব্য খতিয়ে দেখা হবে। রাজ্য সরকারের এই দমনপীড়নে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে বিজেপির মুখপাত্র স্বপ্ননীল বড়ুয়া দাবি করেন, এই মুহূর্তে কোনও অনুপ্রবেশ ঘটছে না। অনেক আগে এই সব হত। আমরা বলতে পারি, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ হয়নি। নিজের বক্তব্যের পক্ষে কয়েকটি যুক্তিও দিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র। স্বপ্ননীল বলেন, বাংলাদেশিরা রোজগারের জন্য এখন ইউরোপ, মধ্য এশিয়া বা অন্য কোনও উন্নত দেশে যান। সেখানে উপার্জন বেশি। তাই তাঁরা ভারতে আসেন না। ইউরোপ বা মধ্য এশিয়ায় ন্যূনতম তিন হাজার টাকা রোজগার হতে পারে। ভারতে সেখানে সর্বোচ্চ হাজার টাকা হয়। তাহলে কেন তাঁরা ভারতে আসবেন। বিজেপির এই দাবি নিয়ে অন্য প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১৬ তে অসম বিধানসভা ভোটে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ছিল বিজেপির প্রধান ইস্যু। অবৈধভাবে এদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের তাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটবক্সে ফায়দা পেয়েছিল শাসক দল। এখন বিজেপির মুখে অন্য সুর নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।