বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
জয়পুরে বিদ্যাধরনগরের সভায় দাঁড়িয়ে কৃষকদের মন জয়ের চেষ্টায় রাহুল বললেন, তাদের কী ক্ষমতা নরেন্দ্র মোদিকে সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটেই কৃষকরা তা দেখিয়ে দিয়েছে। বলেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েও ক্ষমতায় থাকার পর মোদিজি ব্যাকফুটে খেলছেন। কিন্তু দেশের কৃষক এবং তরুণরা ফ্রন্ট ফুটে খেলে সাম্প্রতিক ভোটে ছক্কা হাঁকিয়েছেন। গোটা দেশের গরিব কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, কেবল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় নয়। ২০১৯ সালে ক্ষমতায় এলে সব রাজ্যেই গরিব কৃষকদের ঋণ মকুব করব। গোটা দেশে দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব আনতে হবে। যদিও স্রেফ ঋণ মকুব করলেই কৃষকদের সমস্যা মিটবে বলে উল্লেখ করে কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য, ঋণ মকুবে কিছুটা সাহায্য হতে পারে, কিন্তু কৃষকদের সমস্যার সমাধান হবে না।
গতকাল লোকসভার অধিবেশন শেষ হতে রাহুল যেমন জয়পুরে একপ্রকার বিধানসভা জয়ের ধন্যবাদ জ্ঞাপনসূচক সভা করতে গিয়েছেন, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গিয়েছেন আগ্রায়। সেখানে কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ছিল। মোদির আগ্রা যাত্রার কথাকে উল্লেখ করেও এদিন কৃষককে অস্ত্র করে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধী। আগ্রায় এক আলু চাষির আর্থিক ক্ষতির প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রাহুলের তোপ, আগ্রায় এক কৃষক ছ’মাস খেটেখুটে ১৯ হাজার কিলো আলু চাষ করেছিলেন। কিন্তু বিক্রি করে মিলেছে মাত্র ৪৯০ টাকা। ওই কৃষকের দুর্দশা কি ঘুচবে মোদিজি? নাকি এখনও জুমলাই বজায় থাকবে?
এরপরেই রাহুল ফের তাঁর পুরনো হুমকি উগরে দেন। বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না কৃষকদের ঋণ মকুব হচ্ছে, ততক্ষণ মোদিজিকে ঘুমতে দেব না। টেনে আনেন রাফাল যুদ্ধবিমান ইস্যু থেকে শুরু করে নোটবন্দি, জিএসটি, কর্মসংস্থানের কথাও। বলেন, কৃষকের ঋণ মকুব করেননি মোদিজি। কিন্তু রাফালে বন্ধু অনিল আম্বানির পকেটে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভরেছেন। রাহুল বলেন, মোদিজি বলেছিলেন বছরে দু’কোটি কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু তা তো হলই না। উল্টে তাড়াহুড়ো করে জিএসটি এনে এবং নোটবন্দিতে লোকের চাকরি গেল! পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে মানুষ যেমন এর জবাব দিয়েছে, একইভাবে আসন্ন ২০১৯’এর লোকসভাতেও নরেন্দ্র মোদি গদিচ্যুত হবে। দাবি করেন রাহুল। লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে সংসদের বাইরে আজ জয়পুরের সভা থেকে শুরু করে আগামীদিনে মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও বাড়বে বলেও বুঝিয়ে দিলেন।