বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
যদিও এ ধরনের উদ্যোগের বিরোধিতা করেন বিজেডির এমপি ভ্রর্তৃহরি মেহতাব। বলেন, এভাবে ভাষার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে নির্দিষ্ট কোনও সংরক্ষণ করা মোটেই ঠিক নয়। অন্যদিকে, নাগরিকত্ব বিলের মাধ্যমে মোদি সরকার যেভাবে স্রেফ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হওয়া সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে, তার তীব্র বিরোধিতা করে তৃণমূল। এই বিলের মাধ্যমে কেন্দ্র নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন দলের বক্তা সৌগত রায়। তিনি বলেন, এই বিল পাশ করে বিজেপি যদি পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি ভোট পাওয়ার স্বপ্ন দেখে, তা ভুল করবে। বাংলায় মতুয়ারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে দাবি করে সৌগতবাবু বলেন, কেবল এই তিনটি দেশই বা কেন, নেপাল বা শ্রীলঙ্কা থেকে এদেশে এসে মানুষ বসবাস করতে চায়। আশ্রয় চায়। তাদেরও যুক্ত করা হোক। একইসঙ্গে তিনি বলেন, কেবল হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানই বা কেন, ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যারা ভারতে এসে থাকতে চাইবে, তাদেরই জায়গা দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে সংসদীয় সিলেক্ট কমিটিতেও সরব হয়েছিলেন সৌগতবাবু। প্রস্তাব দিয়েছিলেন, শুধু এই তিনটি দেশ নয়, অন্য দেশের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানা হোক। যদিও সে প্রস্তাব মানা হয়নি। এমনকী, এখন বিলেও তার উল্লেখ নেই। তাই এর প্রতিবাদে লোকসভা থেকে ‘ওয়াক আউট’ করে তৃণমূল। বিলটি প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়। কংগ্রেসও বিলটির প্রতিবাদে কোনও বক্তব্য না রেখেই ওয়াক আউট করেছে। বিজু জনতা দলও বাংলাদেশের ব্যাপারে বিরোধিতা করেছে। উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে আজ সকালে সংসদভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না-বিক্ষোভও দেখিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মোদির মুখোশ পরে মানুষের উপর চাবুক চালানো হচ্ছে—এমন আঙ্গিকে এদিন তৃণমূলের ধর্না দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বিলটি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং লোকসভায় জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এলে কেবল অসমেই নয়, দেশের যে কোনও জায়গায় থাকতে পারবেন। নাগরিকত্বের দাবি করতে পারবেন। রাজনাথ সিং আরও জানান, অভিবাসীরা (মাইগ্র্যান্টস) কেবল অসমেই নন, গুজরাত, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রদেশে এসে বসবাস করছেন। নাগরিকত্ব বিল এনে তাঁদের নাগরিকত্বের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
রাজনাথ সিং বলেন, আগে যেখানে ১২ বছর এদেশে থাকলে বহিরাগতরা নাগরিকত্বের দাবি করতে পারতেন, এবার থেকে সাত বছরেই আর্জি জানাতে পারবেন। রাজ্য সরকারের সুপারিশ মেনেই আবেদনকারীদের বিষয়ে যাবতীয় খোঁজখবর নিয়ে নাগরিকত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানিয়ে দেন রাজনাথ সিং। বিজেপির বক্তা তথা দার্জিলিংয়ের এমপি সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া এদিন বাংলায় বক্তব্য রাখেন। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গানটিকে আবৃত্তি আকারে পেশ করে বক্তৃতা দেন আলুওয়ালিয়া।