বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
কী রয়েছে দ্য ট্রেড ইউনিয়নস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৯-এ? বলা হয়েছে, ‘১৯২৬ সালের ট্রেড ইউনিয়নস অ্যাক্ট মূলত শ্রমিক সংগঠনগুলির নথিভুক্তিকরণের লক্ষ্যেই কার্যকর হয়েছিল। এবং কিছু ক্ষেত্রে নথিভুক্ত শ্রমিক সংগঠনগুলির বিভিন্ন আইন সংক্রান্ত বিষয়ও তার মধ্যে আছে। স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে তৈরি ওই আইন শুধুমাত্র শ্রমিক সংগঠনগুলির নথিভুক্তিকরণের ব্যাপারেই চূড়ান্ত দিকনির্দেশ দেয়। কিন্তু শ্রমিক সংগঠনগুলির স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনে কিছুই বলা নেই।’ তাহলে এই মুহূর্তে কীভাবে কাজ করে এগুলি? পেশ হওয়া সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, ‘১৯৫৮ সালের কোড অব ডিসিপ্লিনের কিছু নির্দেশিকা এবং পরামর্শের ভিত্তিতে এটি করা হয়ে থাকে। যা সংস্থা কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেনে চলেন।’ অর্থাৎ যা কার্যত বাধ্যতামূলক নয়। বিলে বলা হয়েছে, ‘এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য স্তরে শ্রমিক সংগঠনগুলিকে স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট আইনে এই সংশোধনী আনা প্রয়োজন। যেখানে কেন্দ্রীয় স্তরে কেন্দ্র সরকার একটি শ্রমিক সংগঠন অথবা ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসকে সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারবে।’ বিষয়টি একইভাবে প্রযোজ্য হবে রাজ্য সরকারগুলির ক্ষেত্রেও। একইভাবে গত ২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্র এবং রাজ্য স্তরে শ্রমিক সংগঠনগুলিকে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশিই প্রস্তাবিত এই সংশোধনী বিল ত্রিপাক্ষিক বৈঠকগুলিতে শ্রমিক সংগঠনগুলির ‘প্রকৃত’ প্রতিনিধিত্বও চূড়ান্ত করবে।’ এরই বিরোধিতায় সরব হয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস।
এদিন লোকসভায় উল্লিখিত বিল পেশের তীব্র বিরোধিতা করেন সিপিএমের এ সম্পথ, এম বি রাজেশ, আরএসপির এন কে প্রেমচন্দ্রন এবং কংগ্রেসের শশী থারুর। তাঁরা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনস্বার্থবিরোধী নীতির বিরোধিতায় যখন দেশজুড়ে দু’দিনের সাধারণ ধর্মঘট করছেন শ্রমিকেরা, ঠিক তখনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই সংশোধনী বিলটি লোকসভা পেশ করছে কেন্দ্র। এর ফলে আদতে দেশের শ্রমিক কর্মচারীদের অধিকার খর্ব করে দেওয়া হচ্ছে। বিলটিকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘ড্র্যাকোনিয়ন’ আখ্যা দিয়েছেন বিরোধীরা। বিলটি পেশ করে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার বলেন, ‘শ্রমমন্ত্রকের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নির্ণয়ের ক্ষেত্রে শ্রমিক সংগঠনগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু তাদের প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে এতদিন যেমন নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম ছিল না, তেমনই এগুলির স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রেও বিশেষ প্রক্রিয়া ছিল না।’ দু’দিনব্যাপী ধর্মঘট প্রসঙ্গে এদিন সংসদে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘বিএমএস সহ ছ’টি শ্রমিক সংগঠন এতে শামিল হচ্ছে না। সারা দেশে ধর্মঘটের কোনও প্রভাবও পড়েনি।’