কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
১৯৯৯ সালে বামফ্রন্ট সরকার ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজে আর অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। চাকা ঘোরে ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর। দীর্ঘ ১২ বছর পর ২০১২ সালে ফের ট্যাবলো পাঠায় পশ্চিমবঙ্গ। সেবারের থিম ছিল শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব। পরের বছর ২০১৩ সালে স্বামী বিবেকানন্দের দেড়শো বছরের উপর ভিত্তি করে ট্যাবলো করা হয়। ২০১৪ সালে ট্যাবলোর থিম ছিল বাংলার ছৌ নৃত্য, যা প্রথম স্থান অধিকার করে। পরের বছর ২০১৫ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে থিম হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা অনুমোদন না করায় সেই বছর ট্যাবলো পাঠাতে পারেনি রাজ্য। অবশ্য ২০১৬ সালে ট্যাবলোর থিম ছিল বাংলার বাউল। সেবারও প্রথম হিসেবে পুরস্কার পায় পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৭ সালের ট্যাবলোতে থিম ছিল শারোদৎসবে ঢাকের বাদ্যি। ২০১৮ তে ছিল একতাই সম্প্রীতি। তা অবশ্য অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্র। এতদিন রাজ্য সরকার নিজেদের ভাবনা থিম আকারে পাঠাত। এই বছর প্রথম প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে থিমের বিষয় ঠিক করে দেওয়া হয়। গান্ধীজির জন্মের দেড়শো বছর পূর্তিতে রাজ্যে রাজ্যে গান্ধীজির ভূমিকার উপরে ট্যাবলোর থিম করতে বলা হয়। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনায় ট্যাবলোর থিম তৈরি হয়। যেখানে ১৯১৫ সালের মার্চ মাসে শান্তিনিকেতনে গান্ধীজির সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাৎ তুলে ধরার পরিকল্পনা করা হয়। ওই দুই প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তির সাক্ষাতের মুহূর্ত ফাইবারের মডেলে তৈরি করা হবে। ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট চওড়া ট্রেলারের উপরে সাজানো ট্যাবলোর অগ্রভাগে ওই ফাইবারের মডেল থাকবে। মডেল দুটির পিছনে রবিঠাকুরের শান্তিনিকেতনের বাড়ি শ্যামলী’র আদলে তৈরি হবে। পরের অংশে থাকবে জাতীয় পতাকা। ট্রেলারের পিছনের দিকে তৈরি হবে বেলেঘাটার তৎকালীন হায়দরি মঞ্জিল, যা বর্তমানে গান্ধীভবন। যেখানে দাঙ্গার বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের ১৩ আগস্ট থেকে ৭৩ ঘণ্টার অনশন করেছিলেন গান্ধীজি। কয়েকজন দাঙ্গাকারী তাঁর কাছে অস্ত্র সমপর্ণ করে। দাঙ্গাকারীরা দাঙ্গা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলে ফলের রস খেয়ে অনশন ভঙ্গ করেছিলেন গান্ধীজি। পুরো বিষয়টি জীবন্ত মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে ট্যাবলোতে। উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা লাভের দিন তিনি ওই হায়দারি মঞ্জিলেই ছিলেন। ১০ জন শিল্পী গান্ধীজি সহ অন্য চরিত্র তুলে ধরতে ট্যাবলোতে অংশ নেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় গোটা থিমটি ছবিতে এঁকে দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে পাঠানো হয়। ২৬ জানুয়ারির জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি কমিটি আছে। সেই কমিটি থিমটি অনুমোদন করে।