কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত ২৫ এপ্রিল কোচবিহার থেকে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির সূচনা করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৩ দিনের এই সফরে ১৮টি জেলা প্রদক্ষিণ করে ফেলেছেন তিনি। সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনেছেন। আম জনতার সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তাছাড়া এই কর্মসূচিতে অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার বাসিন্দাদের পছন্দ মতো প্রার্থী বাছাই। এজন্য রীতিমতো ব্যালট পেপারে ভোট ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রার্থীর নাম জানানোর সুযোগ ছিল। ফোন করেও বহু মানুষ পছন্দের প্রার্থীর নাম জানিয়েছেন। যেহেতু বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, তাই কর্মসূচিতে কিছু বদল আনা হচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ব্যালট পেপারের মাধ্যমে প্রার্থীর নাম জানানোর বিষয়টি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত যাঁরা পছন্দের প্রার্থীর নাম জানিয়েছেন, তা ঝাড়াই-বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যদিকে প্রতি জেলায় সন্ধ্যাবেলায় অধিবেশন হতো। যেখানে বুথ এবং অঞ্চলের সভাপতিরা ডাক পেতেন। তারাও প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য মতামত জানাতে পারতেন। কিন্তু এই অধিবেশন পর্বটিও আজ শুক্রবার থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। তবে বৃহস্পতিবার নদীয়ার কালীগঞ্জে অধিবেশন হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
পঞ্চায়েত ভোটের জন্য তৃণমূল যে পুরোদস্তুর তৈরি রয়েছে, তা দলের শীর্ষ নেতারা এক বাক্যে জানিয়ে দিয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট যখন ঘোষণা হচ্ছে তখন নদীয়া জেলায় একাধিক কর্মসূচি করেন অভিষেক। কৃষ্ণনগর, নাকাশিপাড়া, তেহট্ট প্রভৃতি জাগায় রোড শো জনসংযোগ করেছেন তিনি। রাত আটটার সময় তেহট্টের বার্নিয়া বাজার এলাকায় অভিষেকের রোড শোতে সামিল হতে দেখা গিয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে। অভিষেকের শরীরী ভাষাতেও প্রকাশ পেয়েছে আত্মতৃপ্তির সুর। তৃণমূল যে পঞ্চায়েতের সব আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুত, তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। জোড়াফুল শিবির বলছে, বাংলার মানুষের আস্থায় তৃণমূল প্রথম স্থানে রয়েছে, প্রথম স্থানে থাকবে। বিরোধীরা সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে কি না, সেটা আগে দেখুক। তাই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তাদের নানা ওজর-আপত্তি, অজুহাত সামনে আসবে। শুক্রবার জনসংযোগ যাত্রার নদীয়া পর্ব শেষ হবে। তারপর উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তিনদিন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় চারদিনের কর্মসূচি রয়েছে। ১৬ জুন কাকদ্বীপের কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে তৃণমূলে নবজোয়ার শেষ হওয়ার কথা। সেখানে ওই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।